আজ তোমাদের এক সুখি রাজার,
দুখি হওয়ার গল্প বলবো।
রহস্যের এক অন্য দরজা খুলবো।
ছিলো একটা রাজত্ব, আর ছিলো রাজা,
ছিলো তার মস্তো বড়ো প্রাসাদ, আর ছিলো প্রজা।
রাজা ধরলো বায়না একদিন,
সবচেয়ে সুন্দরিকে করবে তার রানি,
খবর ছড়ালো আগুনের মতো,
শুনলো সমস্ত পশু থেকে প্রানি।
পরেরদিন পেয়াদা বেরলো সুন্দর নারির খোঁজে,
রাজা দেখে বিয়ে করার স্বপ্ন,
সিংহাসনে চোখ বুজে।
হাজির করা হলো প্রাসাদে সব সুন্দর সুন্দর রুপবতি,
চিন্তিত সকলে,
রাজার চোখে কার পড়বে সৌন্দর্যের জ্যাতি।
করলো তাকেই রানি,
বাছলো রাজা যে সুন্দরিকে।
সাজালো প্রাসাদ নতুন আসবাপত্র এবং নানান আলোকে,
সাথে থাকলো প্রজদের জন্য মস্ত আয়োজন ও
খাদ্যের বিশাল পরিপাটি,
কিন্তু রানির মনে একটাই চিন্তা,
করবে কি করে দখল,
রাজত্বের চাবিখাটি।
এইভাবে কয়েক বছর কাটলো,
অন্যদিকে ধিরে ধিরে রাজার দৃষ্টি শক্তি কমলো,
বাড়লো বয়স সাথে সাথে, চুল-দাড়িতে পাক ধরলো।
সহায় এখন তার একমাত্র লাঠি।
অন্যদিকে রানি করলো দখল,
রাজত্বের চাবিখাটি।
ঘটালো রাজ্যে এক নতুন সংস্কার,
বাধা দেওয়াই রাজা হলো,
নিজ রাজত্ব থেকে বহিস্কার।
ঘুচে গেলো তার রাজত্বটাও,
আপসোস করে ভাবলো রাজা যে-
“সেইদিন দেখলে ভালো হতো,
সৌন্দর্যের সাথে মানসিকতাটাও।”