সম্প্রতি গড়ে ওঠা ‘D.S. Productions’ এর প্রথম নিবেদন “ভালো থাকিস” এক স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি। ইউটিউব রিলিজের চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে প্রায় দশ হাজার মানুষের কাছে পৌছে যায় এবং দারুণ প্রশংসা বাগিয়ে নেয়। বর্তমানে যার আনাগোনা তিন লাখেরও বেশী মানুষের মনে।
মীর আফসার আলি এবং শ্রীলেখা মিত্র অভিনীত ১৪ মিনিট ২৯ সেকেন্ডের এই ছবি একটি অন্যরকম প্রেমের গল্প। ‘ভালো থাকিস’ তৈরি করা হয় ঠিক সেইসব মানুষদের জন্য “যারা একসাথে ভালো থাকতে চেয়েছিল। যারা একে অপরকে ভালো রাখতে চেয়েছিল”, কিন্তু পরিস্থিতির নিষ্ঠুরতা তাদের একসাথে ভালো থাকতে দেয়নি।
মীরা এবং ইশানের দেখা হয় বছর কুড়ি পর, যারা একসময় একে-অপরের জন্য কবিতা লিখে আর গান গেয়ে সরল প্রেম বিনিময় করতো।
শ্রীলেখার দুর্দান্ত-সাবলীল অভিনয় এবং মীর-এর গাম্ভীর্য পরায়ন উপস্থিতি ছবিটিকে এক আলাদা মাত্রায় পৌছে দেয়। সাথে মানানসই আবহসংগীত দর্শকের মন ভারী করে রাখে। দুই চরিত্রের অকপট প্রেমের স্বীকারোক্তি এবং বিপরীত মানুষটির জন্য অক্ষত প্রেম, প্রত্যেকটি দর্শক কে আনন্দ-বিরহে চোখের জল ব্যয় করতে বাধ্য করে।
এই ছবির আরেকটি বিতর্কিত আকর্ষণ হলো, মীরের গলায় ব্যবহৃত শ্রীজা ঘোষের বহুপ্রশংসিত “বছর চারেক পর” কবিতাটি। চিত্রনাট্যের স্বার্থে কবিতার কিছু শব্দ পরিবর্তন করার দরুন শ্রীজার নিয়মিত পাঠকদের মনে অসন্তোষ প্রকাশ পায়।
যদিও তারপর সিনেমার কর্মকর্তাদের সাথে শ্রীজার কথোপকথন হয় এবং দুই পক্ষই বোঝাপড়া করে নেয়, সিনেমার ক্ষতি না ঘটিয়েই।
অতএব ১৮ নভেম্বর মুক্তি পাওয়া স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি “ভালো থাকিস” এখন লাখ খানেক মানুষকে ভালো রাখছে।
সংবাদবাহক: অভিষেক কর