|| ক্রিকেট শিরোনামে বাংলাদেশ ক্রিকেট ||
গত রবিবার ক্রিকেটীয় ফাইনালের এক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কায় এই ত্রিদেশীয় সিরিজের শুরুটা নিরামিষ ভাবে হলেও খেলা যত গড়িয়েছে উত্তেজনার পারদ ততই বেড়েছে। ফাইনালে ওঠার ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে মুশফিকুর রহিমদের নাগিন নাচ ও ড্রেসিংরুমের দরজা ভাঙাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয় আবহ। সেই খেলায় ঝামেলার সূত্রপাত হয় একটা ‘নো’ বল না দেওয়ার প্রতিবাদে। প্রতিবাদ এতই জোরালো ছিল যে টীম তুলে নেওয়ার ইঙ্গিত দেন অধিনায়ক শাকিব-আল-হাসান। এমনকি বাংলাদেশের ক্রিকেটার নুরুল হাসানের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার থিসারা পেরেরার হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। অবশেষে একটা বল বাকি থাকতেই জয় পায় বাংলাদেশ। ছয় মেরে ম্যাচ জেতান মাহমুদুল্লাহ। মাঠজুড়ে শুরু হয় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নাগিন নাচ।
শ্রীলঙ্কায় এই নিদাহাস ট্রফি জুড়ে এত উত্তেজনা, রোমাঞ্চ যে সম্ভব তা কল্পনাও করেনি ক্রিকেট বিশ্ব। টুর্নামেন্টের ফাইনালে শেষ বল পর্যন্ত যে খেলা গড়াবে তাও অনেকে ভাবেনি। তবে তাই হল শেষমেশ। দীনেশ কার্তিকের অতুলনীয় ইনিংসে ভর করে জয় পেল ভারত। নাটকীয় জয়ের পর একসাথে উড়ল ভারত আর শ্রীলঙ্কার পতাকা। ক্রিকেটে যা আগে কখনোই ঘটেনি। জয়টা কেবলই ভারতের জয় ছিলনা। ফাইনালে শ্রীলঙ্কার সব দর্শক চাইছিল ভারত জিতুক, তাই জয়টা ওদেরও। ভারতের বেশ কিছু ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্রিকেটার এই ত্রিদেশীয় সিরিজে সুযোগ পায়। এই সিরিজ জয় নিঃসন্দেহে তাদের মনোবল অনেকটাই বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম।
শেষ দু’বছরে বাংলাদেশ ক্রিকেট অনেক এগিয়ে এসেছে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। বেশ কিছু ক্রিকেটার খুব ভালো খেলছে। ভবিষ্যতে হয়তো গোটা টীম আরও ভালো ক্রিকেট খেলবে। তবে অনেক ক্রিকেট ভক্তই বলছেন, মাঠের মধ্যে বা খেলার শেষে এমন কিছু করা উচিত নয় যা ক্রিকেটের জন্য লজ্জার। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ড শাকিবদের উগ্র আচরণের সমালোচনা করেছেন। শুক্রবারই বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটারের ২৫ শতাংশ ম্যাচ ফি জরিমানা করেন ম্যাচ রেফারি। অপরদিকে ফাইনালে ওঠার জন্য এক কোটি টাকা করে প্রত্যেককে বোনাস দেওয়ার কথা জানান শাকিবদের দেশের বোর্ড। ভারতকে হারালে আরও বড় অর্থ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছিল। যদিও সে স্বপ্ন এবারেও অধরা রয়ে গেল।