পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি ভূতুড়ে স্থানের এই পর্বে আমরা এমন কিছু ভূতুড়ে স্থান নিয়ে আলোচনা করবো যেগুলো হয়তো অনেকের কাছেই অজানা এবং অচেনা।
ব্রহ্মদৈত্য থেকে শাকচুন্নী, ভয়ংকর পেত্নী থেকে হাড়কাঁপানো নিশির ডাক! এরকম কয়েকটি ঘটনার ওপর ভিত্তি আমাদের পশ্চিমবঙ্গে লোকমুখে কথিত আছে অলৌকিক, অবিশ্বাস্য ভূতের হাজারো কথা ও কাহিনী।
পশ্চিমবঙ্গের এমনই কয়েকটি অজানা স্থান রয়েছে যেগুলো ভূতের পটভূমি হিসেবে ধরা হয় (লোকমুখে কথিত)।
এসব জায়গায় যাওয়ার জন্য রীতিমতো আপনাকে বুকে সাহস এবং মেরুদন্ড শক্ত রাখতে হবে। এমনটাও বলা হয়। এরকম কয়েকটি ভূতুড়ে স্থান সম্পর্কে নীচে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হল।
বীরভূমের কাঙ্কালিতলা মন্দির – এখানের বায়ুই অলৌকিক অনুভূত হয়। শান্তিনিকেতন থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে এই মন্দিরটি অবস্থিত।
এই মন্দিরের কাছের একটা শশ্মান ভূতুড়ে বলে মনে করা হয়। এই শশ্যানের বায়ুতে ভয়ের স্রোত বয় ।
তারাপীট মন্দিরের শশ্মান – তারাপীট মন্দিরের একটি শশ্মানে সন্ধ্যে ৬ টার পর কোনো বাতি জ্বলে না। অন্ধকারে ডুবে থাকে শশ্মান।
এই অন্ধকারে এখানখার তান্ত্রিকরা ঘুরে বেড়ান। রাতে এই শশ্মান আপনাকে ভীত সন্ত্রস্ত করতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গের বেগুনকোদর রেলওয়ে স্টেশন – ভারতে কয়েকটি ভূতুড়ে রেলস্টেশন রয়েছে, তার মধ্যে বেগুনকোদর অন্যতম।
লোকমুখে কথিত, ১৯৬৭ সালে এই স্টেশনের স্টেশনমাস্টার রেলওয়ে ট্র্যাক এর ওপর সাদা শাড়ি পরিহিতা এক মহিলাকে দেখে আকস্মিকভাবে মারা যান। তারপর থেকে ৪২ বছর এই স্টেশন ভূতুড়ে ছিল।
কয়েক বছর আগে বিজ্ঞামঞ্চের কর্মী বেগুনকোদর স্টেশনে রাত কাটাতে গেছিলেন। এই স্টেশনটি সত্যিই ভূতুড়ে কিনা তা জানাই ছিল তাঁদের উদ্দেশ্য।
গভীর রাতে ওই কর্মীরা সাদা কাপড়ে কয়েকটি মানুষকে দেখতে পান। তাঁরা তাদের পিছু নেন। দেখা যায়, লোকগুলো গ্রামবাসী ছিল। এই ঘটনার পর এই স্টেশনকে অনেকেই আর ভূতুড়ে বলে মনে করে না।
এখন বেগুনকোদর স্টেশনের পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক।
আসানসোল এসপিএস স্কুল – আসানসোলের এসপিএস স্কুলের একটি চিলেকোঠায় ভূতুড়ে কান্ডকারখানা অনুভব করেছেন স্কুলের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক শিক্ষিকা এবং স্কুলের অন্যান্য কর্মীরা। তবে এটি সত্যিই ভূতুড়ে কিনা তা এখনো অজানা।
ভূতুড়ে স্থান সম্পর্কে আলোচনা করলে উঠে আসবে ছোটো বড় এরকম আরোও ঘটনা। তবে বেশিরভাগই লোকমুখে কথিত এবং সত্যিই ভূতুড়ে কিনা প্রমাণিত নয়।