॥ গা ছমছমে পাঁচটি ভৌতিক স্টেশন ॥
ভূত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ এই তিনটি স্তরেরই প্রাধান্য মানুষের জীবনে অর্থ রাখে। অশরীরী অথবা প্রেতাত্মা নিয়ে নানান জল্পনা- কল্পনা এবং বিস্তর তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। কেউ কেউ মৃত্যুত পরবর্তী স্তরের অধ্যায় নিয়ে চর্চাও করেন, কেউ হয়তো আত্মার অস্তিত্ব স্বীকার করেন, কেউ করেন না। কিন্তু বিবিধ মতামতের পরেও মৃত্যু পরবর্তী কালের সত্য রহস্য উদ্ঘাটনে আজও কেউ সফল নয়। তাই আজকের বিজ্ঞান ভিত্তিক যুগেও অন্ধকারে গা ছমছমে রোমাঞ্চকর ভৌতিক অনুভূতির সাক্ষী বহু মানুষ যার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
বিশ্বের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এরকমই কিছু ভৌতিক স্টেশনের খোঁজ দিলাম–
১) বেগুনকোদোর স্টেশন, পুরুলিয়া
পুরুলিয়ায় অবস্থিত বেগুনকোদার একটি মাঝারি মাপের স্টেশন। একসময়ে এই স্টেশনে সব ট্রেণেরই যাতায়াত ছিল, অনেক প্যাসেঞ্জার ট্রেণই থামত এখানে। আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে একটি ঘটনার পর থেকে এই স্টেশনের প্রাণ নিভে আসে আস্তে আস্তে। জনশ্রুতি থেকে শোনা যায় যে একদিন মধ্যরাতে ওই স্টেশনেই স্টেশন মাস্টার এবং তার স্ত্রী খুন হন, পরে তাদের দেহ উদ্ধার হয়। এরপর স্টেশনে নাকি বিভিন্ন সময় বিভিন্নরকম অলৌকিক ঘটনার সাক্ষী হতে হয়েছে ওখানকার মানুষদের। তাই আজ ওই স্টেশন প্রায় পরিত্যক্ত বললেই হয়।
২) রবীন্দ্রসরোবর মেট্রো স্টেশন, কলকাতা
কলকাতার মত উন্নত জনবহুল শহরেও অশরীরির আনাগোনা আছে। রবীন্দ্রসরোবর মেট্রো স্টেশন সারাদিন ব্যস্ততায় পরিপূর্ণ থাকলেও রাত্রি শেষের মেট্রোর সময় স্টেশন চত্বর নিঝুম হয়ে আসে। শেষ মেট্রোতে চালক সহ অনেক প্রতক্ষ্যদর্শী কোনো এক অদৃশ্য ছায়ামূর্তিকে লাইনের ওপর দিয়ে চলে যেতে দেখছেন।
৩) বি সান এমটিআর স্টেশন, সিঙ্গাপুর —
সিঙ্গাপুরে অবস্থিত এই স্টেশনটি ভৌতিক কান্ডের জন্য বেশ পরিচিত। স্টেশনটি চালু হওয়ার পর থেকেই কখনো অদৃশ্য হাত, কখনো মুন্ডুহীন যাত্রীর দেখা পাওয়া যায় মেট্রোর ভিতরে ও বাইরে। উল্লেখ্য ঘটনা হিসেবে বলা যায় একদা এক মেট্রোর কর্মী দেখতে পান এক শবদেহ চলন্ত ট্রেণের পাশ দিয়ে ছুটে যাচ্ছে।
৪) গ্লেন ইডেন রেলওয়ে স্টেশন, নিউজিল্যান্ড —
প্রাথমিকভাবে এই স্টেশন তৈরী করার উদ্দেশ্যেই ছিল মৃতদেহ আনা নেওয়া করা। পরবর্তীকালে ওই স্টেশনেই তৈরী একটি ক্যাফেতে আত্মার অস্তিত্ব টের পাওয়া গেছে বিভিন্ন সময়ে।
৫) প্যান্টিওনেস মেট্রো স্টেশন, মেক্সিকো —
এটি মেক্সিকোর মধ্যে একটি অন্যতম ভুতুড়ে স্টেশন। মেট্রো স্টেশনটি তৈরীর আগে নাকি এখানে দুটি সমাধি ছিল বলে জানা যায়। রাতের পরিবেশে নানান অস্বাভাবিক চিৎকার এবং ছায়ামূর্তি প্রভৃতির সাক্ষাৎ মেলে। অন্ধকার পরিবেশে এই স্টেশনের মূর্তি যথেষ্ট ভয়াবহ।