বাড়ির বহু পুরোনো বেল গাছটা হঠাৎ করেই শুকিয়ে যাচ্ছিল , পাতাগুলোও ধীরে ধীরে ঝরতে শুরু করেছিল। কিন্তু বাগানের প্রত্যেকটা গাছ মা-এর বড্ড প্রিয়, সবটা যে মায়ের নিজের হাতে সাজানো; ওরা প্রাণ মায়ের। কাজেই মা-ও আদাজল খেয়ে লেগে পড়ল বেলগাছটার পিছনে, বাঁচানোর তাগিদে।
প্রায় সাতদিন বাদে, সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি বাগানের পরিচর্যা করতে মা বেশ ব্যস্ত। সে যদিও রোজকার ঘটনা। তবে অন্যদিনের থেকে আজকের ব্যস্ততার পার্থক্য একটাই, অদ্ভুত একটা প্রাণোচ্ছ্বল হাসি রয়েছে মুখে। উৎসুক হয়ে বাগানের দিকে এগোতেই জানতে পারলাম বেল গাছটা বেঁচে উঠছে, নতুন পাতা এসেছে বেশ কয়েকটা। মা বেশ খুশি। আবারও যেন ওরকম না হয় তাই এখন থেকে একটু বেশি করে খেয়াল রাখার প্রচেষ্টা চলছে, আর তার জন্যই ঠিকঠাক পরিচর্যা করতে হবে।
আসলে ফিরে পাওয়া যে কোনো কিছুরই আনন্দটা একটু অন্যরকম হয়। ফিরে পাওয়ার ঠিক আগের মুহুর্ত অব্দি যেমন হারিয়ে ফেলার একটা তীব্র ভয়, কষ্ট থাকে তেমনই পাওয়ার পর আনন্দের সাথে সেটা কিভাবে আগলে রাখা যায় স্বযত্নে তার চিন্তাও মিশে থাকে। কারণ হারানো জিনিস বারবার তো ফিরে নাও পেতে পারি।