মুম্বাইয়ের স্লাম এলাকা থেকে ইসরোর সায়েন্টিস্ট হলেন প্রথমেশ!

মুম্বাইয়ের স্লাম এলাকা থেকে ইসরোর সায়েন্টিস্ট হলেন প্রথমেশ! যদি বলা হয়, ইসরোতে মুম্বাইয়ের কোনো সায়েন্টিস্ট নেই,তাহলে আপনি স্বভাবতই চমকে উঠবেন।

তার চেয়ে বেশি অবাক হবেন, যদি বলা হয় প্রথমেশ হির্ভে, একজন মুম্বাইয়ের ছোট্ট বসতি বাসী ইসরোর সায়েন্টিস্ট হয়েছেন।

তিনি দশ বছরেরও বেশি কঠোর পরিশ্রম ও অধ‍্যবসায়ের বলে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন।

ইসরো মুম্বাইয়ের স্লাম এলাকা থেকে পেয়েছে মুম্বাইয়ের প্রথম সায়েন্টিস্ট।

হ‍্যাঁ, এটা গল্প হলেও সত‍্যি। “কঠোর পরিশ্রমের কোনো বিকল্প হয়না” , তা আবারও প্রমাণ করে দিলেন প্রথমেশ।

তিনি তাঁর পঁচিশ বছরের জীবনের বেশিরভাগ সময়ই মুম্বাইয়ের ঘিঞ্জি বসতিতে কাটিয়েছেন।

খুব কম বয়স থেকেই প্রথমেশ ইঞ্জিনিয়ার হবার স্বপ্ন দেখতেন। শুরুতে তাঁর পরিবার তাঁর ওপর আস্থা রাখতে পারেনি।

ইঞ্জিনিয়ারিং এর খরচ বেশি হওয়ায় তাঁর পরিবারের লোক চেয়েছিলেন প্রথমেশ আর্টস নিয়ে পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যাক।

তবুও নিজের মনের জোরে তিনি স্বপ্নপূরণের লক্ষ‍্যে এগিয়ে গেছেন এবং অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছেন।

তিনি হিন্দি মিডিয়াম স্কুলে পড়েছেন। তারপর ডিপ্লোমার পর ইঞ্জিনিয়ারিং জয়েন করেছেন।

তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “প্রথম প্রথম ডিপ্লোমা কোর্সে ইংলিশ ল‍্যাঙ্গুয়েজ এবং জটিল ইঞ্জিনিয়ারিং টার্মস নিয়ে আমার খুব অসুবিধা হত। প্রফেসরের কোশ্চেন ফাঁকি দেওয়ার জন‍্য আমি লাস্ট বেঞ্চে বসতাম।”

অবশেষে সমস্ত বাধাবিপত্তি দূর করে প্রথমেশ যখন লক্ষ‍্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁর পরিবারকেও পাশে পেয়েছেন তিনি।

গতবছর তিনি ইসরোতে আবেদন করেছিলেন।যদিও গতবছর শুধু ওয়েটিং লিস্টে ছিলেন। তিনি তবুও হাল ছেড়ে দেননি।

তাঁর কঠোর পরিশ্রমের ফসল হিসেবে তিনি এবছর মুম্বাই থেকে ইসরোর প্রথম সায়েন্টিস্ট।

“আমি যখন জানতে পারি, আমি পেরেছি তখন খুব খুশি হয়েছিলাম। ইসরোতে পৌঁছনোর জন‍্য আমি দীর্ঘ দশ বছরেরও বেশি পরিশ্রম করেছি। আমি আমার বাবা মাকে একটি সুন্দর বাড়ি ও সুখের জীবন উপহার দিতে চাই।”, সফল হবার পর প্রথমেশ তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

ইসরোতে আবেদনকারী ১৬০০০ জনের মধ‍্যে ৯ জনকে সিলেক্ট করা হয়েছিল। এই ৯ জনের মধ‍্যেই একজন হলেন মুম্বাইয়ের প্রথমেশ । প্রথমেশের সাফল্যে গর্বিত তাঁর বাবা মা।

দেশের যুবক সম্প্রদায়ের  কাছে অনুপ্ররণার একটা জলজ্যান্ত উদাহরণ প্রথমেশ। ইচ্ছে থাকলে সাফল‍্যের সামনে বাধাগুলো সহজেই জয় করা যায়‌, আরোও একবার প্রমাণ করলেন প্রথমেশ ।

Facebook Comments Box

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *