ধর্মীয় পদতলে মানুষ আর মনুষ্য পদতলে ধর্ম ৷ কথাদুটির বৈপরীত্যতাতেই অর্থের প্রাচুর্যতা লক্ষণীয় ৷
মনুষ্যজগতের সারল্যতাকে পরিপন্থী ও মহামূল্যবান পাথেয় করে এযাবৎকালে অসামাজিক, অধার্মিক সহ নানাবিধ কুকর্মের হোতাস্বরূপ আত্মস্বার্থচরিতার্থকারী ধর্মাশ্রয়ী নাগপান্ডারাই সমূলে দায়ী ৷ এইসমস্ত নরকীটরা ধর্ম, ধার্মিকতা শব্দসমূহের অর্থ হাস্যরস ও কৌতুকতায় পরিনত করেছে ৷ শান্তি, স্রষ্টার পরিবর্তে ধর্মস্থল পরিনত করেছে মসীধূম্রকেতন যন্ত্রঘরে ৷
সহজভাবে বলতে গেলে আজ সমগ্র বিশ্ব জুড়ে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার বাতাবরণ দৃঢ়তর ৷ মহাকালের ভূবনচিত্তে অযোগ্য ক্ষমাপ্রার্থীদের যোগ্য উত্তরাধিকারী কালনাগদের এই সমস্ত বিষফল বীজরা, যারা ধর্ম ও ধর্মস্থলকে নিজের মতো ব্যবহার করে যুব সমাজকে ঠেলে দেয় অসামাজিকতার পরিচর্যা করণে ৷ এই সমস্ত ঘটনাবলির গোঁড়া পত্তনে আমরা দেখতে পাবো সেই ধর্মীয় গোঁড়ামি ৷
সমালোচকদের মনে হতে পারে হয় লেখক নাস্তিক নয় ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানছে ৷ একটু বৃহত্তর চিন্তাধারার মানসিকতায় বিচার করলে আমরা দেখতে পাবো লেখাটিতে কোনো ধর্মকে আক্রমণ করে নয় বরং ধর্মের নামে ভন্ডামি আর ধর্মীয় গোঁড়ামির নিন্দা করা হয়েছে ৷ আসলে ধর্ম মনুষের বিশ্বাস নির্ভর এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয় যে কোনো সামাজিক সমস্যার গুরুত্ব যখনই দৃঢ়তর হয় তদমুহূর্তে ধর্মাশ্রয়ী নাগপান্ডার দল ধর্মীয় ইস্যুকে সামনে ঠেলে দিয়ে মানুষে মানুষে বিভেদের চেষ্টা করে ৷ তবে সবক্ষেত্রে এমনটা হয় বলা যায় না ৷
সত্যি বলতে আজও ধর্ম সৃষ্টির যথার্থতা আমাদের উপলব্ধি বহির্ভূত ৷ তাই ধর্মকে কেন্দ্র করে উৎসবের বাহুল্যতা, জাঁকজমকতা প্রাধান্য পায় ৷ দুঃখের বিষয় অধরা রয়ে যায় রাম, রহিম, যোশেফের একাত্মতা, আদর্শ ও সারমর্ম ৷