আমি তুমি বলে ফেললাম । তুমি বলতে পারি?
জয়িতা অনেকক্ষণ গম্ভির ভাবে অবিনাশের মুখের দিকে চেয়ে থাকল। আমি জয়িতার গম্ভির মুখ দেখে রিতিমত চিন্তায় পড়ে গেছি্লাম। তারপর হঠাৎ জয়িতা আসতে আসতে করে হাসতে শুরু করল। সেই হাসি দেখেই আমি যেন কিছুক্ষণ আগে আসা চিন্তার কথা যেন ভুলেই গেলাম। সেই হাসির মধ্যে নম্রতা, ভালবাসা, আর অপুব মাধুর্যয়ও ভরে ছিল। হাসি থামিয়ে জয়িতা বলল ” তুমি সব কথার আগে এতো ভিত হয়ে থাক কেন?” । কথাটা শেষ করে জয়িতা এবার জিভ কাটল। বলল ” এই রে আমিও তো তুমি বলে ফেললাম”। কথাটা বলে দুজনেই আবার হেসে ফেলল।
আমি এবার গাড়িতে start দিয়ে যাত্রা শুরু করলাম।
“হম হম হমহম হম হম……………” গাড়িতে বসে আমি গুনগুন করছিলাম, ঠিক তখনই পাস থেকে কথা ভেসে এল যে “গান করছ যখন জোরেই কর, আমিও যেন মন্ত্রমুগ্ধ হতে পারি… গুনগুন করে শুধু বাইরের হাওয়া কে impress করে কোন লাভ আছে কি?”
কথাটা শুনে আমি হালকা হেসে ফেললাম। আমি এবার গানটা জোরে করা শুরু করলাম “আমি যামিনী তুমি শশী হে………”
-“যাক বাবা কেউ তো অন্য কিছু গাইছে” গানটা চলাকালিন জয়িতা হঠাৎ বলে উঠলো।
-“মানে?”- আমি বললাম।
-“না…… মানে আপনার গানের কোন দোষ নেই। আমি যখনই কারোর সাথে travel করেছি তারা কোন গান পায়না শুধু “এই পথ যদি না শেষ হয়” এটাই সারা রাস্তা তে গাইতে থাকল।যেন এটা national road song। আরে বাবা তোর গাড়ি তে আমি বসেছি পথ শেষ না হওয়ার ধান্দা তে? তাহলে আমি পৌছাবো কিকরে”
কথাটা বলেই আবার দুজনে হেসে ফেলল।
-” আচ্ছা আমার গানের ব্যাপারে আপনার কি মতামত?”
-“হম……… ওটার জন্য তো সারা রাস্তা পড়ে আছে…”
-” মানে এই পথ যদি না শেষ হয়??”
-“উফফ …… আর না……” জয়িতা বলেই মুচকি হাসল।