ফেসবুকে হঠাৎ করে একটি মেয়ের ছবি ভেসে উঠলো। প্রথম দেখাতেই প্রেম হয়ে যাওয়ার মতন। একবার ভাবে মিথ্যা , নাকি সত্যি। তারপর প্রোফাইল টা খুলে দেখে। নাম রৃতিকা সেন। নজরকাড়া রুপ তার। মন মাতাল করা সৌন্দর্য। দেখেই প্রেম হয়ে যাবার মতো। রনিত মনে মনে ভাবে একটা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে দেখবো কি? আবার মনে হয় যদি পাত্তা না দেয়।যদি সব আশা মিথ্যা হয়ে যায়। দোটানায় পরে যায়। তারপর একমুহুর্তের জন্য চোখ বন্ধ করে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে দেয়। তারপর অপেক্ষা করতে থাকে। এছাড়া কোনো উপায় নেই। প্রায় পাঁচ দিন পর রৃতিকা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আকসেপ্ট করে। রনিত মনে মনে খুব আনন্দ পায়।
কিন্তু কোনো মেসেজ এলো না ওইদিক থেকে। তাই রনিত সেইদিন টা দেখে পরের দিন নিজেই ‘হাই’ লিখে মেসেজ করে। মেসেজ সিন হলেও রিপ্লাই আসেনা। রনিত ভাবতে থাকে তাহলে কি সত্যি মেয়েটা কথা বলবে না? প্রেম টা কি হবে না।সব কি তাহলে মিথ্যা। ভাবতে ভাবতে একটা মেসেজ আসে। রনিত দেখে রৃতিকার মেসেজ।
কিছু বলবেন?
আপনি কি আমাকে চেনেন? রনিত উত্তরে বলে না চিনলে বুঝি বন্ধু হওয়া যায় না? সোজা সাপটা ভাবে সে বলে দেয় রৃতিকা কে সে ভালবাসে। বিয়ে করার কথাও বলে। রাজি করাতে চায়। রৃতিকা প্রথমে রাজি না হলেও পরে রাজি হয়ে যায় রনিত এর পাগলামি দেখে। রৃতিকা কে রনিত সবসময় চোখে হারায়।
রনিত রাগি হলেও ভালোবাসতে জানে। রোজ রৃতিকার সাথে দেখা হওয়া চাই তার। না হলেই পাগলামি শুরু। দেখা করতে না চাইলে বলে প্রেম করছি, দেখা করব না তাই কি হয় বলো? রৃতিকা রনিতের সাথে কথায় পেরে ওঠে না। ভীষন জেদি ছেলে। যা বলবে তাই করবে। বেশ ভালই কাটছিল ওদের। সারারাত ফোন, গল্প। ঘুম আসে না বললেই চলে। খুব আনন্দে দিন কাটতে থাকে। রৃতিকা কখনো ভাবতেই পারেনি যে এতোটা কেউ ভালোবাসতে পারে। না চাইতেই রনিত তার সব চাহিদা পূরণ করে। ভালোবাসায় দুজনেই পাগল। তবে ভয় হতো ভালোবাসা মিথ্যা হয়ে যাবে না তো?
বেশ কিছুদিন পর রৃতিকা বাইরে পড়তে চলে যায়। প্রথমে রনিত আপত্তি করলেও পরে আর এই নিয়ে কথা বলেনি। দূরে চলে গেলেও রোজ কথা হতো , ভালোবাসা টাও আছে। তবে রোজ দেখা না হলেও ভিডিও কলে কথা হয়। এইভাবেই বজায় থাকে তাদের দুরত্বের মিথ্যা সম্পর্ক।