সিরিয়াল কিলিং
আপামর বাঙালি হয়তো জানে সেই বিখ্যাত ‘সজারুর কাঁটা’-র কাহিনী। হ্যাঁ, অনেকটাই সেই রকম, যাকে আমরা ‘সিরিয়াল কিলিং’ বলে থাকি। গল্পে খুনি একটি মুখ্য চরিত্রকে খুনের উদ্দেশ্যে এক ধরনের ক্রমিক হত্যালীলা চালায়, যেটা অনেকটা ওই সিরিয়াল কিলিংয়ের মতোই। বাস্তবে এই ঘটনা সত্যিই ভীষণ শিহরণ জাগানো একটা ব্যাপার।
মূলত মানসিক ভারসাম্যহীন একটা মানুষ নিজের অজান্তেই এক বেয়খেয়ালি হত্যালীলা চালায়, আর সেই হত্যার ধরনও হয় ভীষণ নৃশংস। এই ‘ক্রমিক হত্যার’ বলি হয় খুব সাধারণ মানুষ যারা হয়তো রাত কাটায় খোলা আকাশের নীচে, আবার অনেক ক্ষেত্রে মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত বাদ যায়নি কেউ। ‘সিরিয়াল কিল’ কথাটি এসছে স্যার রবার্ট বেসলারের ব্যবহৃত ‘সিরিয়াল হেমিসাইড’ থেকে, যিনি একজন এফ.বি.আই স্পেশাল এজেন্ট ছিলেন। এই ‘সিরিয়াল কিল’-এর সময়ের ব্যবধান বেশ কিছু দিন হয়, যেমন এক মাস থেকে তিন মাস পর্যন্ত হতে পারে। আর এই কারণে এই মৃত্যুর নির্দিষ্ট কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না আর হত্যাকারীরও নাগাল পাওয়া যায় না। এমনকি হত্যাকারী নিজেও বুঝতে পারেনা সে কী কারণে এই হত্যা করছে। অনেক ক্ষেত্রে হত্যাকারী নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে হত্যালীলা চালায়, আর এক্ষেত্রে সে বেছে নেয় যে মানুষগুলোকে সে সহ্য করতে পারে না বা যাদের উপর সে বীতশ্রদ্ধ। আবার অনেক ক্ষেত্রে হত্যাকারী নিজের জীবনের শৈশবকাল থেকে প্রচুর সমস্যার মুখোমুখি হতে হতে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে হত্যাকারী হয়ে ওঠে।
তবে এই রকম হত্যালীলা ঠিক করে পর্যবেক্ষণ করে বহু ‘ক্রমিক হত্যাকারীর’ নাগাল পাওয়া গেছে।