এই তেইশ-চব্বিশ বছর বয়সটা এমন যে চট্ করে কেউ প্রেমে পড়ে না, আবার প্রেমে পড়ে গেলে তা সহজে ভাঙ্গেও না। বেশিরভাগ বিচ্ছেদটা হয় আমাদের স্কুল-কলেজের প্রেমগুলো, কারণ তাতে খুব বেশি ছেলে মানুষ ভাব থাকে। কলেজের পরই প্রাই সকলেই নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে। আগের মতো কেউ সময়ও দিতে পারে না। আর এই সময় না দিতে পারার সাথে আমাদের বরাবরই একটু সমস্যা আছে। আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়ি দেখা করার, সারাক্ষন কথা বলার। এই ছোটো ছোটো অভ্যাসগুলোই সম্পর্কে ফাটল ধরায়। একটা এলো-মেলো পরিস্থিতির মধ্যে হঠাৎ করে আমরা পড়ে যায়। সবকিছু কেমন যেনো ঘেটে যায়। আমরা সমস্যাগুলোর কাছে হেরে যায়। আদেও সেটা ভালোবাসা নাকি শুধুমাত্র আকর্ষন বুঝে উঠতে পারি না। চোখে দেখে ভালো লাগা আর নিখাদ ভালোবাসা এই দুটোর মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে, আর এই পার্থক্যটাও আমরা বুঝতে পারি না।
একটা সময়ের পর সম্পর্কটা বোঝ মনে হয়। অবশেষে বিচ্ছেদ।
কিন্তু এই সাতাশ-আঠাশ বছর বয়সে যে প্রেমগুলো আসে, সেইগুলো ছেলেমানুষির থেকে পরিপক্কতা বেশি থাকে। আমরা ততোদিনে সম্পর্কের মর্যাদা দিতে শিখে যায়। আমরা বুঝতে পারি যে কোনটা ভালোবাসা আর কোনটা শুধুমাত্র চোখের ভালো লাগা বা আকর্ষন। আমরা অনেকবেশি বাস্তবকে ঘিরে বাঁচতে শিখে যায়। তখন প্রেমিক/প্রেমিকার সাথে দেখা করার থেকে বেশি প্রয়োজন হয়ে পড়ে দু’জনেরই নিজের পায়ে দাঁড়ানো কারন সত্যিটা ভিষন রকমের তেঁতো হলে অবশেষে সেটাই বাস্তব। টাকা ছাড়া ভালোবাসার পরিনতি ভালো হয় না।
বিভিন্ন সময় আমাদের জীবনে বিভিন্ন রকমের প্রেমের আবির্ভাব ঘটে, কোনোটা আমাদের এক্কেবারে ভেঙ্গে দেয় তো কোনোটা আমাদেরকে সাজিয়ে তোলে। কিন্তু সব প্রেমেই আমাদেরকে কিছু না কিছু শিখিয়ে দিয়ে যায়। আমরা নিজেকে ভাঙ্গি আবার নিজেকে গড়ি। আমরা লড়তে শিখি, বুঝতে শিখি মানুষদের, চিনতে শিখি আমরা। আমাদের ছোটো থেকে বড়ো হওয়ার পদ্ধতিতে শুধু শারীরিক পরির্বতনই আসে না, আসে মানষিক পরিবর্তিনও।