কি করে জানতে পারলো ??
একবছর কেটে গেছে । নতুন সায়েন্স টিউশনেও ভর্তি হয়েছে একসাথে । বন্ধুমহলে গসিপ আর নিতে পারছে না, শান্তনু । ও তো এসব চাই নি কখনো । যাইহোক , এখন সমস্যা এটাই যে শুভ্রা ভুল করে জেনে গেলে, শান্তনু সম্পর্কে তার ধারণা পুরোটাই বদলে যেতে পারে । সেটা শান্তনু একেবারেই চাই না ।
প্রতিদিন পড়ার শেষে সাইকেল বার করার অজুহাতে , অপেক্ষা করে সে । শুভ্রা তার বান্ধবীদের সাথে গল্প করে , আর শান্তুনু শুভ্রার মুখের কোণে লেগে থাকা হাসির গন্ধ নেই । কিন্তু এই সুখ তার আর বেশিদিন টেকে নি ।
আগস্ট এর শুরু বা জুলাই এর শেষ এরম সময়ই হবে হয়তো , এক সন্ধ্যায় হলো সেই কান্ড ।
কানাঘুষো অন্যের কানে না পৌঁছে আর কি থাকতে পারে নাকি । নতুন কান খোঁজে শুধু ।
স্যারের পড়ানো শেষ । টিউশন থেকে বেরোচ্ছে শান্তনু , বেশ চিন্তায় আছে । আজ শুভ্রা ওকে বলেছে দাঁড়াতে , কি যেন একটা কথা আছে। জুতো পরে দাঁড়িয়ে আছে সে । শুভ্রা এসে বললো ,
-এই তুই কি বলেছিস রে আমার ব্যাপারে ?
-আমি ! কি বলবো ? বুঝলাম না ।
-সবই শুনলাম ।
শান্তনুর বুকের ভেতরটায় হটাৎ করে একটা ঝড় বয়ে গেল ।কি বলবে ? শুভ্রা জানলো কি করে । প্রত্যুত্তরে কি বলবে বুঝে পাচ্ছে না ।
-আচ্ছা , যেটা শুনেছিস সেটা ভালো লেগেছে ?
শুভ্রার ঠোঁটের কোণে একটা ছোট হাসির উদ্রেক হলো যেন । সে বললো ” ভেবে বলবো ।”
এবার ! কি হবে ? এসব ভাবছে শান্তুনু । ইতিমধ্যে শুভ্রা তার বাবার বাইকে বেরিয়ে গেছে ।
নতুন একটা মিশ্র অনুভূতি । নতুন কিছু শুরু হওয়ার আগে এরমটা হয় ।
“ছোট গল্প নাকি উপন্যাস কিছু একটার পাণ্ডুলিপি পড়বো এবার । এতে চরিত্র হওয়ারও সুযোগ পেয়েছি ।”
এই দুটো লাইন লিখে শান্তনু ঘুমোতে গেল। তার এই ছোট অনুভূতি গুলো সেদিন রাতে তার ডায়েরিই জেনেছিল । তখন তো আর হোয়াটসআপ স্ট্যাটাস দেওয়া যেত না ।
( চলবে )