আমার শহরে বৃষ্টি নামে রোজ।
হঠাৎ করেই শব্দকুহকের ব্যারিকেড গড়ে তোলে অজস্র।
সমাজের লেলিহান দৃষ্টিতে সম্পর্কগুলো মাঝে মাঝেই বিন্যাস হারিয়ে ফেলে,
দিন দিন কাঠপাত্তিতে বাজি রাখে হাজার হাজার শরীর।
দুঃখ করছো?
না, রসাতলে চলে যাওয়া মানবিকতা আজ দরজায় কড়া নাড়ে না!
ব্যস্ততার ঘেরাটোপে শ্বাসরোধ হয়ে আসে সবার,
কিছু মাথা অবহেলায় রাত কাটায় ঐ ৬ নং ন্যাশানাল গ্ৰ্যান্ড ট্যাঙ্ক রোডের ড্রেনের ধারে।
আমার শহরে রোজ বসন্ত নামে ঐ উচ্চমানের অট্টালিকার শ্যাম্পেঞ্জ বোতলে ও হোটেলের প্রাইভেট রুমে।
পলাশের গন্ধ নাকে পৌঁছায় না,
বাতাসে মিশে থাকে ‘সো কলড ফেমিনিসম’-এর তাবেদারি…
চিৎকার করে গলার স্বর আওয়াজ তুলুক,
রিফিলে রিফিলে লেখা হোক উপন্যাস…
বিদ্রোহী মানসিকতা আজ কফিন ছেড়ে উঠে আসুক।
দলাপাকানো সাহিত্য মাথা চাড়া দিক প্রতিটি ব্লাড সার্কুলেশনে,
মিছিল গড়ুক হ্যান্ডিকেপড্ মনুষ্যত্ব।
গর্জে উঠুক প্রেমের সাইরেন,
জানান দিক চায়ের দোকানের চলতে থাকা পলিটিক্সের চর্চা, যে আমরা আজও জীবিত।
মুষ্টিবদ্ধ হয়ে ও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জ্বলে উঠুক প্রতিবাদের ঝলকানি।
হয়তো বহু যুগ পরেও আবারও আসবে আমার শহরে এক রঙিন বসন্ত।
আবার নীলাভ প্লেকট্রাম এর ছোঁয়ায় গিটারের স্ট্রিং হতে সুর বেরিয়ে আসবে,
“Give me some sunshine, give me some rain…”