ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ১টা।
দক্ষিণ দিকের জানালা বেয়ে ফুরফুরে হাওয়া এসে পড়ছে ৩ তলার বাড়িটার কোণের ঘরে।
কানে হেডফোন আর প্লে-লিস্টে পছন্দের সব গান শাফল্ মোডে দেওয়া।
যদিও শরীরটা ক্লান্ত হয়ে বিছানায় এলিয়ে পড়েছে; চোখে ঘুম-ঘুম ভাব এলেও কেন জানি না চোখ বোজা যাচ্ছে না…
হৃদয় বড্ড ভারী হয়ে আছে। তিনদিন ধরে ছেঁড়া ডায়েরি আর নিকোটিনে গল্পগুলো এক নেশায় মত্ত আছে, এখনো কোনোভাবেই নিজেকে সামলে উঠতে পারছি না।
কিছু শ্বাসরোধ করা তীক্ষ্ণ কথার জাল ক্রমশ খাদ্যনালীতে আঘাত করছে, দলা পাকিয়ে আসছে কথাগুলো।
খুব বিদ্রোহ করে বলতে ইচ্ছে করছে, “আমি এখনো ভুলে যাইনি তোমায়, তোমার ঐ ঘন চুলের সুরভী গন্ধ, নিকোটিনে পোড়া মায়াবী ঠোঁট এখনো ডাকে আমায়…”
আমার শহরে অ্যাড্রিনালিনের আঘাত বেশি হয়, পিট্যুইটারির ধারালো পরিকল্পনা কখনও কমে আসতে দেয় না জমতে থাকা মেঘের ঘনত্ব।
পেনকিলার হলেও কাজে লাগে না নিকোটিন, ক্রমশ থাবা বসায় ইতিহাসে…
বয়ে আসা হাওয়ার আঘাতে ঘন কালো মেঘ হতে বৃষ্টি নামলো চোখের কোণে। অ্যাশট্রেটা গল্পগুলোর সাক্ষী রাখলো নিজেকে।
হেডফোনে তখনো বেজে যাওয়া আবেগগুলো কিছুটা আয়ত্তে এনেছে অ্যাড্রিনালিনের ক্ষরণ…
প্লে-লিস্টে চলছে,
“আভি না জাও ছোড়কার, কে দিল আভি ভারা নেহি…”