কেউ কারোর জন্য অপরিহার্য হয় না। তুমি ছেড়ে চলে গেলে আমি বাঁচবো না। বা আমি ছেড়ে চলে গেলে ও হয়তো মরেই যাবে। এই ভাবনাগুলো একেবারে অবান্তর। হুমমম, ছেড়ে যেতে কষ্ট হয়। আর কেউ ছেড়ে চলে গেলে আরো আরো বেশি কষ্ট হয়। বুকের ভেতরটা আটকে আসে। যন্ত্রণারা দলা পাকায় গলার ঠিক কাছটায়। নিচের মধ্যে তখন আমরা ত্রুটি খুঁজতে শুরু করি। নিজের চোখ দিয়ে নিজেকে না দেখে, অন্যের দৃষ্টি ভঙ্গি দিয়ে নিজেকে বিচার করতে শুরু করি। তবে সত্যি কি কিছু খামতি রয়ে গিয়েছিল? ভাবি এমন অনেক কিছু । কিন্তু তুমি ছেড়ে চলে গেলে বাঁচাটাই ভুলে যাব, এমনটা ভাবি না। বাঁচবো, অবশ্যই বাঁচবো। সেই বাচাটা হয়তো আমার মত মতো হবে না। হয়তো রাত জেগে গল্পের বাহানায় যে স্বপ্নগুলো দেখেছিলাম একসাথে, সেগুলো আর পূরণ হবে না ভেবে কষ্ট পাবো। হয়তো দু চারদিন খেতেও ইচ্ছে করবেনা ঘুম আসবে না। ডাক্তার দেখাতে হতে পারে খেতে হতে পারে হাইড্রোজের অ্যান্টিবায়োটিক ও। পড়াশোনার ক্ষতি হবে অফিসের কাজে মন বসবে না বন্ধুদের সাথে আড্ডার প্ল্যান গুলো কে নানা অছিলায় পাশ কাটিয়ে দেবো কাউকে রাস্তাঘাটে একসাথে হাতে হাত রেখে হাতে দেখলে কিংবা নিরালা রেস্তোরাঁয় একে অপরের মধ্যে বুদ হয়ে ডুবে যেতে দেখলে হঠাৎ বুক ফেটে কান্না আসবে। বিয়ে বাড়িগুলোতে যেতে ইচ্ছে করেনা আর। না এমনটা নয় যে কারো শুভ পরিণয় আমি হিংসা করি তবে স্বপ্নের কাজল তো আবার চোখে মানায়। টিভি ইমোশনাল সিন গুলো আজকাল বড্ড বেশি কাঁদায়। তবুও তোমাকে একটা কথা বলতে চাই, তুমি ছেড়ে চলে গেলে আমি কিন্তু বাচা ছেড়ে দেবো না। তিন বেলা পেট ভর্তি করে না খেলেও খাওয়া-দাওয়াটা কিন্তু করব। চার-পাঁচ ঘণ্টা ঘুমিয়ে নেব অনায়াসে। কোন বাচ্চার মিষ্টি প্রাণখোলা হাসি দেখলে মনটা খিলখিলিয়ে ও উড়তে পারে। তুমি ছেড়ে চলে গেলে বাচা ছেড়ে দেবো না কক্ষনো। বরং হেসেখেলে প্রমাণ করে দেবো কেউ কারোর জন্য অপরিহার্য নয়। কেউ কারোর জন্য অপরিহার্য হয় না।
মৌমিতা ভাওয়াল দাস