দরজায় গল্প ঝুলছে

বাইরের দরজায় গল্প ঝুলছে প্রাগৈতিহাসিক যুগের।
পুরানো কাঠের হ্যাঙ্গারে, সাদা হাফহাতা জামা আর কালো ছিটের প‍্যান্টটা কেমন যেন মনমরার ছোটো গল্প বলছে।
কত শত কাব‍্য জমে আছে প্রতিটি ঘরের ছাদের কোণায়…
মা-কাকিমারা সংসার পাতার মহাকাশে ব‍্যস্ত, সাথে আছে হরেকরকম তাজা সবজি, হাড়ি-কড়াই, আরো কত কি!
বাবা-কাকারা নিজের জলছবিদের টানে, দোকানপাট ও হাটের দিকে পাড়ি দিয়েছে।
বাড়ির মেজোছেলে সাইকেল চালিয়ে ভবিষ্যৎ গড়তে যায় প্রতিটি দিন।
সপ্তম, অষ্টম, নবম বা দশমের প্রদীপ শিখাগুলো, স্বপ্নের রামধনু দেখার ইচ্ছেগুলোকে খুব যত্নসহকারে লালনপালন করছে, আগামীতে ইতিহাস গড়বে বলে।
কতো সাধারণ ও সরল চিত্রনাট্য তৈরী করেছে ঐ লালমাটির দেশের মানুষগুলো!

পশ্চিম দিকের জানালার ফাঁক দিয়ে আসছে তাজা রঙিন আভা―
হঠাৎ করে মুখে ছোঁয়া পেতেই ঘুমটা ভেঙে গেলো! সাথে সাথেই মায়ের ডাক, “বাবু, তোর জন্যে পোস্টমাস্টার কাকুর চিঠি এসেছে…”
আমি গিয়ে চিঠি নিলাম। খুব আশ্চর্যভাবে এবং কৌতুহল বশত নিজের ঘরে এসে ভাবছি, আবার কোন উপন্যাসের জাল আমাকে আঁকড়াতে চাইছে?
জানিনা কোন দুঃস্বপ্নের তীক্ষ্ণ থাবায় ভাবনাগুলো দুমড়েমুচড়ে যাবে এক পলকে…

এসবের মাঝেই, চিঠি খুলতেই দেখলাম, নতুনভাবে কাহিনী লেখার আগমন বার্তা দরজায় কড়া দিয়েছে।
ঘড়ির কাঁটার ১০ টা বাজার সাথেই চাকরিটা চৌকাঠ ডিঙিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েছে।
শুরু হলো নতুন স্বপ্ন দেখা, শুরু হলো এক রঙিন উপন্যাসের জন্য ডায়েরি খোঁজা।

কিছু, সকালে এভাবেই দরজায় কড়া নাড়ে সাফল্য, কিছু সকাল এভাবেই লেখে কাব্য।

Facebook Comments Box

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *