হঠাৎ ধুলোপড়া বিকেলে যখন পুরোনো স্মৃতিদের ভিড়ে শহরটা ভারী হয়ে আসে, বড্ড ঘন মেঘ জমে ঐ দক্ষিণ দিকের আকাশে। চারিদিকের ধুলোপড়া অন্ধকারে ঢেকে যায় শহরের উঁচু-উঁচু বাড়িগুলো। ঠিক তখনই, বুকসেল্ফ থেকে ছিঁড়ে যাওয়া বইটা উঁকি দেয় একরাশ অভিযোগ নিয়ে। তার অভিমানের পাহাড় এতটাই উঁচু আর সংকীর্ণতায় পরিপূর্ণ, যে সেখানে পৌঁছনোর কোনো পথ নেই! ক্রমশ শক্তিশালী করে তুলেছে সে নিজেকে; এতটাই শক্তিশালী যে, শ্রাবণের তীব্র বর্ষণও জমে থাকা অভিমানের ধুলোপড়া ধুলোবালি পর্যন্ত পৌঁছনোর পথ পায়না।
আসলে অভিযোগ, অভিমানের রাখ-ঢাক সে করেনা।
খুব সহজেই তীব্র প্রতিবাদ করে সে। কিন্তু, সময়ের সাথে সাথে ক্লান্ত হয়ে যাওয়ায় আজ অভিমান গুলো আক্রমণের জন্য জোড় করেনা, দেখায় না ক্ষতগুলোর গভীরতা। তাই হয়তো খুব জোরালো শ্রাবণের আশ্রয় চাই তার। খুব আলতোভাবে বর্ষণের ছোঁয়া দরকার― আদুরে বসন্তের তুলির টানে সব বাধা ভেঙে ফেলতে চায় সে! কিন্তু, কে শুনবে তার কাহিনী ? কে আনবে বসন্তের আভাস ? কে ছোঁয়াবে লোডশেডিং চিলেকোঠার বর্ষণ ? আজও অপেক্ষা করে ঘন মেঘে জমে থাকা ছেঁড়া বইটা…