বর্তমানে সোশ্যাল জগতের মানুষদের আমরা বড্ড বেশী প্রাধান্য দিই।
এই যেমন লেখালেখি তো এখন অনেকেই করেন, অনেকে লেখার বিষয়বস্তুর মধ্যে নিজেকে খুঁজে পায়।
হ্যাঁ, আমিও অনেক লেখকের লেখনীর মধ্যে নিজেকে খুঁজে পাই।
তবুও, অনেককেই বলতে দেখি, “ভালোবাসি দাদা।”, “ভালোবাসা নিস বা নিও”, “অনেকখানি ভালোবাসা ভাই”…
ভালোবাসাটাকে এতোবার করে মনের মানুষের কাছে স্বীকার করেছেন কখনও?
কথায় কথায় ‘ভালোবাসি’ শব্দটি এতোটাই যথেচ্ছ ভাবে ব্যবহৃত হয় যে,
শব্দটির মূল্য বা গুরুত্ব কোথাও না কোথাও ক্ষীণ হয়ে আসে।
সত্যিই কি একজন অপরিচিত, বিনোদনের জগতে আলাপ হওয়া বা যাকে ঠিকমতো জানার সুযোগই হলো না,
তাকে যখন তখন এভাবে ‘ভালোবাসি’ কথাটা বলা যায়?
‘ভালোবাসা’- কথাটার এক আলাদা মাধুর্য আছে।
অনেকে এতোটা পরিমাণে শব্দটিকে ব্যবহার করেন যে,
দিনের শেষে প্রিয় বা খুব কাছের মানুষগুলোকেও হয়তো এতো সহজে ‘ভালোবাসি’ বলতে পারেন না।
বলতে পারেন না ঠিক…
আসলে, তারা সেইসব মানুষের মধ্যেই পড়েন যাদের কাছে ‘ভালোলাগা’ আর ‘ভালোবাসা’ সমপর্যায়ের।
এতটাই মেকি আবেগ নিয়ে নিজের স্বত্ত্বাকে জাহির করেন যে,
আসল ভালোবাসার মানুষগুলো তাদের প্রাধান্যের তালিকায় থেকে কোথাও যেন হারিয়ে যায়…
বাস্তবে আমরা সবাই মুখোশধারী।
আবেগের সাথে অঙ্ক অনেকেই মেলাতে পারিনা বা সম্পর্কের গুরুত্বটা কিছু ফর্মুলা বেসিস বা টিপিক্যাল শব্দের মধ্যে বেঁধে রেখে দিই!
তবুও, কিছুজনের কাছে ‘ভালোবাসি’ শব্দটির গুরুত্ব ঐ মেকি আবেগের আঘাতে ক্ষুণ্ণ হয় না,
অনেকে সত্যিই ভালোবাসতে জানে।
আর যারা জানে, তাদের কাছে ভালোবাসার গুরুত্ব ঐসব ‘অনেকখানি’র ঊর্ধ্বে বিরাজ করে।
সংখ্যা গরিষ্ঠদের কাছে ট্রেন্ডস হিসেবে প্রাধান্য পেলেও,
খুব কমসংখ্যক মানুষের জন্য ‘ভালোবাসি’ টা এক আকাশ ন্যায় উপন্যাস, ছোটোগল্প…
যাদের কাছে চিত্রনাট্য ভিন্ন হলেও, চরিত্র বা গল্পগুলো অভিন্ন থাকে।
‘ভালোবাসি’ কথাটা কি সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?:
Facebook Comments Box