আজ জোরকদমে ফেসবুকীয় মাতৃদিবস পালন চলছে, মায়ের সাথে নিজের ছবি আপলোড বা মা নিয়ে অনেক অতি আবেগযুক্ত লেখা।
মাকে বললাম, চল একটা সেলফি নি, নাহলে ফ্যাশনের বাইরে চলে যাবো।
মা একদম উৎসাহ না দেখিয়ে বললেন,যখন এমনিতে বলি একটা ছবি তুলে দে, তখন সময় পাস না, আজ আর মা দিবস আদিখ্যেতার দরকার নেই।
যাহোক, আমার মা অধ্যাপিকা না কিংবা শিক্ষিকা, একদম আপাদমস্তক গৃহবধূ।
কিন্তু আমার প্রথম সাহিত্যের সংস্পর্শে আসা ওনার কাছ থেকেই।সবাই যখন ঈশপ কিংবা হিতোপদেশ শোনায়, উনি দেশী বিদেশী বিভিন্ন উপন্যাসকে ছোট করে শোনাতেন।
আমি যখন পঞ্চমশ্রেণীতে,তখন ওনার আলমারিতে লুকিয়ে মৈত্রেয়ী দেবীর ‘ন হন্যতে’ পড়া।
আমার মায়েই একের পর এক বই কিনে দিয়েছেন, কিশোর পত্রিকা কিনে দিয়েছেন।
আগে মাকে, স্কুলে যা ঘটুক, এসে বলতাম, তাই অনেকে মা ল্যাওটা ছেলে বলতো।
যাহোক, আজ মাতৃ দিবসে শুভেচ্ছা, আমার ছেলেবেলার সবথেকে প্রিয় বন্ধুকে, আমার সাহিত্য আলোচনার সঙ্গীকে।
আমার ‘মা’ কে।
মা
Facebook Comments Box