মা আসছে! পুজোর বাদ্যি বাজলো বলে…
কুমারটুলিতে বাঁশের ওপর খড়-মাটির প্রতিমা তৈরী শুরু হয়ে গেছে এতক্ষণে,
পটুয়া মানসচক্ষে মাকে এঁকে নিয়েছে মনের মাঝে—
বিভিন্ন পাড়ার ছেলেরাও এসে বায়না দিয়ে গেছে পছন্দের মুর্তির।
পেঁজা তুলোর মেঘেরা হঠাৎ আনাগোনার মাঝেই শিউলি ফুলের গাছেদের কানে কানে এসে বলে গেছে— আর বেশী দেরী নেই, সাজতে শুরু করো…
ওদিকে তুলির টানে মা একটু একটু করে প্রাণ পাচ্ছেন, হয়ে উঠছেন সম্পুর্ণা!
জগতের সকল কোণে থাকা সব কালোদের মুছে ফেলতে চিন্ময়ী মা’ও একটু একটু করে জেগে উঠছেন নারীর অন্তরে।
কাঁধে ব্যাগ নিয়ে ইস্কুলে যাওয়া ছোট্ট মেয়েটাও শুনেছে পর্বতকন্যা পার্বতীর গল্প, পাশের বাড়ির দিদিকে ক্যারাটের প্যাঁচে কয়েকটা দুষ্টু লোককে ঘায়েল করতে দেখেছে।
মায়ের আসার কথা শুনে ওর মনে পড়ছে— দিদিকে তখন পুরো মন্ডপের দুগ্গাঠাকুরের মত তেজী লাগছিল,
আর মন্ডপে তখন ধ্বনি উঠছিল— “বলো দুগ্গা মাই কি জয়”!
তাই, সেও আজকাল ভয় পেলে বলতে শিখেছে- ” যা দেবী সর্বভূতেষু, শক্তিরূপেণ সংস্থিতা!”
ওর মতো মানুষগুলোর প্রাণে বিশ্বাসটুকু বাঁচিয়ে রাখতেই মা প্রতিবার আসে।
এবারও শিগ্গিরই মা আসছে…