সরস্বতী পুজোর সেকাল একাল

2009: সময় টা আজ থেকে প্রায় দশ বছর আগের । সরস্বতী পুজোর মানে টা একটু আলাদাই ছিলো আমাদের কাছে। তখনও সোশ্যাল মিডিয়ার রাজত্ব সেভাবে শুরু হয়নি ছাত্র-ছাত্রীদের রাজ্যে। তাই সরস্বতী পুজো নিয়ে উত্তেজনাটা তখনও ফুরিয়ে যায়নি।
একমাস আগে থেকে চলতো কি শাড়ী পড়বো ,কি গয়না পড়বো এসব নিয়ে বন্ধু মহলে গভীর আলোচনা।
আর যদি প্রেমিক থাকে সাথে ব্যাস! ষোলো কলা পূর্ন একেবারে।
সকালে উঠে স্নান করে হলুদ কিংবা সাদা শাড়ীতে উফ্ সব মেয়েকেই জাস্ট অসাধারন লাগে।তার সাথে মানানসই সাজ আর কোনও কথায় নেই। কত ছেলে যে কুপোকাত হয় এসব জ্যান্ত সরস্বতী দেখে তার ইয়ত্তা নেই।
অঞ্জলিতে কি আর মন বসে তখন?
তারপরে পুজো শেষে চলে প্রসাদ বিতরনের পালা।
কে আপেল পেলো আর কে পেলো না এই নিয়ে চলে হালকা খুনসুটি।
তবে আমার মতো খাদ্যরসিকদের কাছে সবচেয়ে প্রিয় হলো খিচুড়ি ভোগ।
বিকেলে হাতে হাত রেখে ঘুরতে দেখা যায় বহু প্রেমিক- প্রেমিকাদের।ওই যে বলে না, সরস্বতী পুজো বাঙালীর ভ্যালেনটাইনস্ ডে!
এইভাবে কিছু টুকরো স্মৃতি
আর কিছু ভালো অনুভূতি নিয়ে এরকম অনেক সরস্বতী পুজো কেটে যায়।

2019:
“ভাগ্যিস এবারে উইক এন্ডে পুজো টা পড়লো না হলে আবার আজকের দিনেও অফিস ছুটতে হতো”এটা অনেকেরই মনের কথা। আবার অনেকের কাছে জাস্ট একটা নরম্যাল ডে।নিউজ ফীড স্ক্রল করেই দিন শেষ।
কিছু জনের কাছে অবশ্য এই দিন টা পারফেক্ট ফর ডেট্।
তবুও এখনও কিছুজন আছে যাদের এই দিন শাড়ী পাঞ্জাবীতে কলেজ কিংবা ফেলে আসা স্কুলে এখনও দেখা মেলে। হঠাৎ দেখা হয়ে যাওয়া পুরনো প্রেম কিংবা নতুন প্রেমে মজে থাকা যুগলদের কাছে সরস্বতী পুজো একটু বেশী প্রিয়।
এক মিষ্টি নসট্যালজিয়া মোড়ানো এই দিন টা অক্লেশে পারে 2009 কে 19 করতে।
জানি আমার মতো অনেকেরই চোখে অনেক স্মৃতিই আসছে ।ফিরতে ইচ্ছে করছে পুরনো বেলায় ।তবু ফেরার রাস্তা নেই ,তাই একরাশ অব্যক্ত কাহিনি নিয়ে নতুন অধ্যায় শুরু করতেই হয়।

Facebook Comments Box

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *