-” খাও তো আমার টাকায় তাও এত জেদ কিসের ?? বোঝো না তো পয়সা রোজগার করতে কত মুরোদ লাগে । অন্যের পয়সায় খায় অবার শখ ষোলো আনা ” – রোজ রোজ রাজীবের এই অকথ্য ভাষা আর সহ্য হয়না লিপির । দাঁতে দাঁত চেপে মা বাবার কথা ভেবে লড়াই চালিয়ে যায় সে । কবে এক টুকরো মুক্তি আসবে এই বন্দী অসহায় জীবনে তা জানা নেই…
– কংগ্রেটস লিপি বসাক আজ থেকে আপনি আমাদের স্কুলের একজন সক্রিয় কর্মী… স্কুল থেকে ফেরার পথে বাস স্ট্যান্ডের কাছে রোজ এক পাখিওয়ালা কে দেখে লিপি… খাঁচা বন্দি ময়না টিয়া বুলবুলি নানা রকম পাখি নিয়ে বিক্রির আশায় বসে থাকে..
একটা খাঁচা ভর্তি পাখি কেনে লিপি..
পাখি মুক্তির স্বাদ পায়..উড়ে যায়..
লিপি গেয়ে ওঠে যা “পাখি উড়তে দিলাম তোকে…
এরকম ভাবেই রোজ কত পাখি খাঁচার ঘেরাটোপে বসে দিন গুনছে মুক্তির আসায়। উন্নতমনস্ক সমাজের বুকে এখানও বাসা বেঁধে আছে মধ্যযুগীয় সংকীর্ণ চিন্তাধারা। স্বামীর পয়সায় দু মুঠো ভাতের খোঁটা শোনে বহু নারী। অর্থই যে গুরুত্ব তা বাড়ে বাড়ে প্রমান হয় সমাজের কাছে। আর্থিক স্বাধীনতাই কি তাহলে একমাত্র মুক্তির পথ? নাকি সংকীর্ণতা পেরিয়ে মনের ভাবনাকে প্রসারিত করাই বুদ্ধিমানের কাজ? দিনের শেষে সকলকেই স্বনির্ভর হওয়া প্রয়োজন সে পুরুষ হোক বা নারী।