দরজা খুলতেই হ্যাপি হোলি বলে মুখভর্তি রঙ মাখিয়ে হোলি শুরু করবার রেওয়াজটা অনেকদিনের।
তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হোলির প্রতি আকর্ষণটা প্রতিনিয়ত কমে যায়।
যখন স্কুলে পড়তাম তখন হোলির একটা আলাদাই উৎকর্ষতা ছিল। বাবা তিন চার রকমের রঙ এনে দিতেন।
সবচেয়ে পছন্দের ছিল পিচকারি।
জলের মধ্যে রঙ গুলে পিচকারি দিয়ে জামাকাপড় রঙিন করে চিৎকার করে ” হ্যাপি হোলি ” বলে অন্যরকম সুখ পাওয়া যেত।
অবুঝের মতো বয়সের ভেদাভেদ না মেনে সক্কলকে পিচকারি দিয়ে রঙ ছুঁড়তাম তখন।
হোলির দিন পাড়ার সবচেয়ে রাগী কাকু কিংবা জ্যাঠু হয়তো সবে বাজার করতে বেরিয়েছেন।
ঠিক সেই সময় পিচকারির রঙে মাথা থেকে পা পর্যন্ত পর্যাপ্ত রঙ মাখিয়ে লুকিয়ে যাওয়ার মধ্যে একটা অন্যরকম আনন্দ পাওয়া যেত।
বড় হতে হতে হোলির আনন্দ টা কমে গেছে। এখন আনন্দ বলতে বড়বেলার অল্প রঙ, নেশা , ভাং এভাবেই ওই একটা দিন কেটে যায়। ছোটোবেলা হারিয়ে যায়।
এখন হঠাৎ করেই ছুটে আসা কোনো পিচকারির রঙে সাদা জামা রঙিন হয়। ছোটো মুখগুলোর দিকে তাকিয়ে মনে পড়ে যায় শৈশবের স্মৃতিগুলো।
ব্যস্ততার সাদা কালো জীবনে ভেসে ওঠে শৈশবের রঙিন দিনগুলো।