কথা দেওয়া থাক
পর্ব- ৩
মেঘ: কিরে? এখনও বসে যে! বিরহ পালন? বাড়ি যাবিনা?
তিন্নি: ভালো লাগছেনা। আলুকাবলি খেতে যাবি?
মেঘ: পাগলি একটা! চল, আজ মাটির ভাঁড়ে একটা ইস্পেশাল চা খেয়ে আসি মধু বিস্কুট সহযোগে, মুড পুরো স্প্রাইট হয়ে যাবে!
তিন্নি: এই অসময়ে চা! মাথাটা গেছে পুরো না রে?
মেঘ: এক্সকিউজ্ মি, আমি কি তিন্নি সেনগুপ্তর সাথে কথা বলছি? মানে যে ডিসেম্বরের লেপের আদর থেকে বঞ্চিত করে রাত ১-টার সময় দোকান খুলিয়ে আমায় আইসক্রিম আনা করিয়েছিল?
তিন্নি তোর মুখে এই “অসময়” শব্দটা না, জাস্ট মানায় না রে! বিশ্বাস কর!
তিন্নি: কোথাও বসলে ভালো হতো না, এই ভিড় চারিদিকে, ভালো লাগছেনা।
মেঘ: আহম্, কি ব্যাপার বলতো? নিভৃতে থাকার ইচ্ছেরা কেমন highly suspicious ঠেকছে…
তিন্নি: যা তা তুই একটা। উফ্, কতদূর তোর সেই ইস্পেশাল চায়ের দোকান? ক্যাব ডাকি?
মেঘ: এলেন আমার গরীবের হেলেন গো! চল চুপচাপ। হাঁটবো।
তিন্নি: আমি হিল পড়ে তো, পারবোনা বেশি হাঁটতে।
মেঘ: ওইজন্য বলি হাওয়াই চটি পড়ার অভ্যেস কর। হেগ থেকে হাওড়া কাঁপছে ওতে, আর তুই কিনা রনপার মতো…
হ্যাঁ, মানছি ছোটোবেলা কমপ্ল্যান খাসনি, বাট্ ইয়েট!
তিন্নি: জ্বালিয়ে মারলো ছেলেটা আমায়। উফফ্, চল!
………………….
তিন্নি: এই আর কতদূর? পা খুলে যাবে তো এবার। দিল্লী নিয়ে যাচ্ছিস নাকি হ্যাঁ! দ্যাখ মেঘ করছে, ছাতাটাও আজ…
মেঘ: করুক নাহ্…
দাদা, দুটো স্পেশাল চা, এলাচ দিয়ে।
তিন্নি: এই আমি তো এলাচ খা…
মেঘ: মধু বিস্কুট না প্রজাপতি?
তিন্নি: ওই যে ওটা, উপরে পোস্ত দেওয়াটা… এই রে বৃষ্টি নামলো যে রে!
মেঘ: চটপট গলায় ঢাল চা-টা, বেরোবো।
তিন্নি: মানেটা কি! এই বৃষ্টিতে কোথায় যাবি রে! হ্যাঁ! আমার কিন্তু টনসিল…
মেঘ: আগের মত বৃষ্টিতে হাঁটবো রাস্তায়…
আমার হারিয়ে যাওয়া তিন্নিটাকে খুঁজতে আরও একবার হারাই না হয়!
তিন্নি: জ্বর বাঁধলে?
মেঘ: প্যারাসিটামল।
তিন্নি: ধ্যাৎ!
চলবে…