ভেঙে পড়েছে রিজু। খেতে বসে বাবার সামনেই কাঁদছে। দু’সপ্তাহ থেকে ভর্তির জন্য কলেজে কলেজে ঘুরলেও কোন সুরাহা হয় নি। কলেজের দাদারা অনেক টাকা ঘুষ চাইছে। ছেলের পাশে গিয়ে বসে মানিকবাবু বললেন–
তুমি তো জানো আমার অবস্থা। সামান্য জুতোর দোকানের কর্মচারী আমি। তোমাকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে সাংবাদিকতা পড়ানোর সামর্থ্য আমার নেই। তবে আমি চাইলে ধার নিতে পারি মালিকের থেকে। ওনার পায়ে ধরে বলতে পারি, ছেলেকে ভর্তি করবো…ধার দিতেই হবে আপনাকে।
কিন্তু তোমাকে ঘুষ দিয়ে পড়াবো? ঘুষ দেওয়ার মত শিক্ষা তো কোনদিন তোমাকে দিই নি।
তুমি খুব ভালো খবর পড়তে পারো। টিভি দেখে নকল করো খবর পড়ার। আমি বারবার বলি, খুব ভালো হচ্ছে বাবাই। ভবিষ্যতেও তুমি খবর পড়বে। শুধু আমি শুনবো। এই একজন শ্রোতার কাছে তুমিই শ্রেষ্ট সাংবাদিক। ৭৫% পেয়ে পাশ করেছো, তোমার দিকে আঙুল তুলবো না কোনদিন। আঙুল যদি তুলতেই হয়, এ রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে আঙুল তুলবো। এখানে খুব বেশি মেধা না থাকলে খুব বেশি অর্থ থাকতে হয়। আর যাদের দুটোই থাকে না তাদেরকে স্বপ্ন বদলাতে হয়। তুমিও এবার থেকে ছোট স্বপ্ন দেখো…