আমরা একবিংশ শতাব্দীর দোরগোড়ায় এসেও নানারকমের সামাজিক নির্যাতনের শরিক, ডিজিটাল ভারত নামক আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে চললেও মনুষ্যত্ব কিন্তু আধুনিকতার শিখর ছুঁতে পারেনি, একুশ শতকের মধ্যভাগে পণপ্রথা এখনও এই অত্যাধুনিকতার অনুসঙ্গ, না জানি কত শৈশব কত স্বপ্ন ভেঙ্গেছে এই ভাইরাসের মারন ছোবলে, কত তাজা প্রান ঝরে গেছে অকালে এই কুঠারের অস্ত্রাঘাতে, আপাত দৃষ্টিতে আমরা মডার্ন ধ্যানধারনায় বিশ্বাসী, কিন্তু আজো মোড়ানো আছে সেই গোঁড়ামি আধুনিকতার মোড়কে, কত কালশিটে দাগ, কত অমানবিক অত্যাচারে আঁকা ক্ষত চিহ্নেরা ভেসে যায় নোনা জলের স্রোতে শুধু মাত্র এই পণপ্রথার পশ্চাৎপটে।
আধুনিক যুগে দাঁড়িয়েও সুস্থ মার্জিতেরা পণপ্রথার দৃশ্যপটে, এই আধুনিক যুগে দাঁড়িয়েও সুস্থ মার্জিতেরা পণপ্রথার নাম শুনলেই বিরক্তি সহকারে নাক সিঁটকালেও তাদের মধ্যে প্রোথিত লিপ্সার বৈচিত্রের কোনো বদল কোনো কালেই ঘটেনি। আজো পণের কারনেই হাজার হাজার নিরুপমারা ছুটে চলে মৃত্যুর পরে অনালোকিতের তলদেশে, অজস্র ভ্রুন আজ পরিত্যক্ত নীল পলিথিনের দমবদ্ধ করা ফাঁসে সুখের জন্য ভুলেছে তারা নারীর আর্ত হাহাকার এটা পরিবার নাকি পণের কারবার? শিক্ষিত থেকে বুদ্ধি হীন সবটাই লোকদেখানো সম্প্রীতি কাকে করবে দায়ী, সমাজ না পাত্র-পাত্রী??