কথা দেওয়া থাক
পর্ব- ৬
মেঘঃ প্র্যাক্টিকালটা লিখে দিবি পিলিজ্!
তিন্নিঃ থাকছি না ক’দিন, এসে দেখি হয় কিনা…
মেঘঃমানে!! ফুলপিসিমার আবার কিছু হলো নাকি হ্যাঁ?
তিন্নিঃ ধুর্, আমার আর যাওয়ার জায়গা নেই নাকি আর কোথাও, বন্ধুদের সাথে যাচ্ছি…
মেঘঃ কী লোকাচ্ছিস তুই?তোর কোন বন্ধু আমার অচেনা হ্যাঁ? তিন্নি কোথায় যাবি তুই? বল প্লিজ্!
তিন্নিঃ স্টপ ইনটারফিয়ারিং ইন অল মাই পারসোনাল থিংগস প্লিজ্, ভালো লাগছে না আমার জাস্ট!
মেঘঃ কাল অভ্র তোকে ফোন করেছিল না? আর ওর সঙ্গেই তুই…
তিন্নিঃ ইয়েস, হি ডিড! আর যদি যাইও বা, তাতে তুই এভাবে রিয়াক্ট কেন করছিস!
মেঘঃ একটা কল সব এত সহজে ধুয়ে দিয়ে গেল কীভাবে তিন্নি! সেই সমস্ত অন্ধকারের দিনগুলোর মূল্য শুধু এইটাই? এটা তুই তিন্নি?! সে যার কাছে আত্মসম্মানের চেয়ে মূল্যবান কোনো সম্পর্ক ছিলনা, চিনতে পারছিনা আমি!!
তিন্নিঃ কম্পলিকেটেড করিস না প্লিজ্ এভাবে।
মেঘঃ হুম, হ্যাভ আ নাইস্ ট্রিপ, রাখছি৷
অভ্রঃ হোয়াটস্ আপ ডিয়ার, কতক্ষণ থেকে ট্রাই করে যাচ্ছি, ইট ওয়াজ এনগেজ্ড!
তিন্নিঃ এইত্তো, বলো…
অভ্রঃ আর ইউ অলরাইট? গলাটা এরকম কেন লাগছে কেন?
তিন্নিঃ না, নাথিং মাচ! ডিনার কমপ্লিট?
অভ্রঃ উফ্, সেই তোমার এক বস্তাপচা প্রশ্ন! ডু আই সিম টু বি আ কিড? যে না খেয়ে বসে থাকবো! আর যাই হোক আই অ্যাম নট অ্যান ইমোশনাল ফুল লাইক ইউ!
তিন্নিঃ অভিমান, চিন্তা, ভালোলাগাদের বোকামির আখ্যা পেতে হয় শেষমেষ?
অভ্রঃ আবার সেইসব ফিলোজফিক্যাল লেকচার স্টার্ট কোরোনা প্লিজ্, কাম অন এতদিন পর আমরা আবার একসাথে বেরোবো, কোয়ালিটি টাইম স্পেন্ড করবো!
অন্তত এখন এসব ছোটোখাটো ব্যাপারে মুড স্পয়েল কোরোনা!
তিন্নিঃ হুম,ভুলটা আমারই! আমি ভুলে গেছিলাম এইসব “ফিলোজফিকাল লেকচার” আমি এমন একজনের জন্য খরচ করছি, যার কাছে একটা স্টেডি রিলেশনে থাকাকালীন একটা গোটা রাত মন্দারমনিতে অন্য একজনের সাথে কাটানোটাও একটা “ছোটোখাটো” ব্যাপার, নিজেকে কতোটা ছোটো করেছি নিজের কাছে, ভাবতেই গা গোলাচ্ছে! যাই হোক, প্ল্যানটা ক্যানসেল করলাম, রাখছি।
(চলবে…)