বেনামী আবদার–অধ্যায়ঃ প্রথম প্রতিশ্রুতি


Social Media নামক মুক্ত-মাঠে বন্ধুত্বের বার্তা অনেক লোকজন ছক কষে পাঠায় শুনেছিলাম। তবে এই গল্পটা আরও গভীর, মাঠের দরজা অবধি খুলে দিয়েছিলো রীতিমতো দায়িত্ব নিয়ে। পাশে বসে “মুখবই”-তে খাতা খুলে দেওয়া থেকে নিজের খাতা থেকে আমার খাতায় বন্ধুত্বের অনুরোধ প্রেরণ আবার নিজেই গ্রহণ! আমি নেহাতই দর্শক, বসে বসে রঙ্গ দেখা আর ঘাড় নেড়ে যাওয়া― এই ছিল কাজ।

আসলে মেয়েদের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়টি একটু বেশীই সজাগ কিনা! হাবে-ভাবে, চোখের চাহনিতে ওদের ঠাউর করতে দু-এক ঘন্টাই যথেষ্ঠ। তবে বয়স নেহাত কাঁচা ছিলো, আর মেয়েটি ‘মাধ্যমিকের বাধ্য মেয়ে’ ছিলো।একাদশের দোরগোড়ায় কিন্তু দিব্যি টের পেয়েছিলাম, কারোর হিসেবের খাতায় এই মানুষটির দর বাড়ছে চড়চড় করে!

একজন সুতো টানছিলো আর একজন গোটাচ্ছিলো! সাথে পাল্লা দিয়ে ‘ইস্ট্রোজেন’ নিজের খেল শুরু করেছিল। ওদিককার ‘টেস্ট্রোস্ট্রেরন’-এর খবরও ভালো মাত্রায় টের পাওয়া যাচ্ছিলো। আলাপের দোরগোড়ায় আবার পুজোর হাতছানি, দিন গুনছিলো ওরা! প্রথম শাড়ী আর খোলা চুলে খানিকক্ষণ পেতে পাঞ্জাবিতেও মাঞ্জা দেওয়ার প্রস্তুতি ছিল দস্তুরমত…

হঠাৎ যেন দস্যি দামালগুলো সদ্য ভাঙা গলার স্বর আর হাল্কা দাড়ি সম্বল করে রাজকন্যেদের বীরপুরুষ হওয়ার স্বপ্নে বিভোর!

তোমরা বলবে এই ছক হাতের তালুর মতো চেনা। আমি বলবো, ভূমিকা দেখে উপসংহার বিচারটা বোধহয় ন্যায‍্য নয়। গোড়া থেকে ভেবে দেখলে বুঝবে, সুতো ছাড়া যেমন চলছিলো ওদিকে, এদিকেও কিন্তু সুতো গোটানোর সমান দায় ছিল। এ পক্ষ যে একটু বেশী ভাবে, ভাবায়! বুঝতে পারে কিন্ত বোঝাতে পারেনা। তাকালেও সব কিছু সেভাবে ব্যক্ত হয় না যে…

বীরপুরুষটির তরী যে অনেক তীরেই ভিড়েছে, আর রাজকন্যেটি নিজের প্রথম তরী সাজাচ্ছিলো। পা ফেলছিলো তাই অতি সাবধানে…!!

 
Facebook Comments Box

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *