সাধারণ হয়ে অসাধারণ আমি (পর্ব-১)

আমি সুমিতা। পদবী জানা নেই। বয়স ২৩, উচ্চতা মাঝারি বলা চলে।আমি লোকের বাড়ি কাজ করি ।এ গল্পের নায়িকা আমিই।
অবাক হলেন তো?সামান্য একজন কাজের মেয়েকে নিয়ে গল্পো?
তা আবার হয় নাকি!
গল্পের নায়িকা মানেই তো আপনাদের কাছে কোনও অপরুপ সুন্দরী যার কাজল চোখের চাহনী আপনার ঘুম উড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
সেই জায়গায় আমি?
আমি যে অত্যন্ত সাধারণ।
তবে কি বলুন তো আজকালকার দিনে সাধারণ হওয়ার মধ্যেও এক অসাধারণত্ব লুকিয়ে আছে।
কত জন সেটা পারে বলুন তো ?
সকালে সৎ মায়ের লাথি ঝাঁটা খেয়ে ,রোদে পুড়ে ,লোকের বাড়িতে এঁটো বাসন ধুয়ে আমার এক একটা দিন কাটে।
রাতে ফিরে আবার বাড়ির হাজারো ফরমাইস । সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য?
সে না হয় আমার গল্পের নায়িকার জন্যই তোলা থাক!

দামী পাঁচতারা হোটেল কখনও চোখেই দেখিনি ।শুধু টিভি সিরিয়াল গুলোতেই যা …
ওই যে আপনারা যেসব ভালো ভালো বিদেশী খাবার খান সেসব খেতে আমারও খুব ইচ্ছে করে। কিন্তু ওই যে বললাম আমি গরীব। সাধারণ!
তবে সুযোগ যে আসেনি তা নয় । একদিন কাজের বাড়িতে বৌদি না থাকায় আমাকে টেনে নিয়ে যায় শোওয়ার ঘরে।
সেখানে অনেক ভালো ভালো খাবার রাখা ছিলো। ওই যে কি যেন বলে! পিজ্জা না কি, আরও কত কি!
আমাকে সেগুলো খেতেও দেয় । আমি খুব খুশি হয়েছিলাম সেদিন।
তারপর শুরু হয় আসল খেলা । এগুলোর বিনিময়ে উনি চেয়েছিলেন আমার শরীর।যা দেওয়া আমার পক্ষে ছিল অসম্ভব। অনেক কষ্টে নিজেকে বাঁচিয়ে পালিয়েছিলাম।
নাহ্ আর কাজে যাইনি। আমার অভিযোগ কেই বা শুনবে বলুন?
আমি যে খুব সাধারণ। তবে এরকম অনেক আমি এখনও আছি সমাজে যারা প্রতিদিন এভাবেই বাঁচে। সংগ্রাম করে।
তাই আমাদের জন্য গল্পো টা এক্কেবারে আলাদা।

Facebook Comments Box

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *