“…Bas pyar ka nam na lena, I hate love stories…”
সাত সকালে বাসের লাইন, তার উপর মাসিমা-কাকিমা বেষ্টিত ব্যাপার-স্যাপার!
২০৩-ডি টা নাকের ডগা দিয়ে ঠুমকা লাগিয়ে বেরিয়ে গেল, আর আমি শাড়ি নিয়ে সামলাতেই অক্কা যাচ্ছি! শালা এসব ফেস্টগুলোয় এত ইয়ের মতো ড্রেসকোড কেন থাকে কে জানে!
যাদের সেটিয়ং হরিতং তপ অলরেডি ডান তাদের না হয় গল্প আলাদা! আর আমাদের মতো সিঙ্গেল প্রত্যাশায়িং টু মিঙ্গেল পাবলিকগুলোর গাঁ…beep যায় জাস্ট!
মিনিমাল মেকআপ(বেশি না, ৬৯ কে.জি ময়দায় কাজ চালিয়েছি)টাও পুরো ১০ টাকার চকোবারের উপরের লেয়ারটার মতো গলতে শুরু করে দিয়েছে অলরেডি!
যা অবস্থা গেটকিপারেরও চোখ আটকাবে না,
বাসটা কি চো…beep কে জানে শালা!
অবশেষে বিশ্বকর্মার দেবদূতের আবির্ভাব!
তিল ধারণের জায়গাটুকুও নেই, তবুও কন্ডাক্টরের কথায় “ভেতরে ফুটবল খেলার জায়গা আছে”র চোটে চিঁড়ে-চ্যাপ্টা, কনুইয়ের গুতো, পায়ের উপর পা! উফফ্! পুরো স্বর্গে বিরাজ করছি, বালের স্টপেজটাও এখনও আধঘন্টা। ধুর্!
গেটের কাছে বাদুরের মত ঝুলন্ত অবস্থায় গুঁতো খাচ্ছি, হঠাৎ ঠেলে-ঠুলে একটা মহাবরের প্রবেশ!
“ভদ্রতা কি বাড়ির ফ্রিজে রাখেন নাকি হ্যাঁ? মিনিমাম সরিটুকু তো বলতে হয়! ওভাবে ধাক্কা মেরে…”
“শহরে ওলা উবের চলে, এত অসুবিধা হলে তাতে করে যান না! সক্কাল সক্কাল…!”
স্টুডেন্ট কনসেশনের ভাড়া দিয়ে বাসে চড়ি, আবার কিনা ওলা-উবের ধন কুবের!
কথা বাড়ালাম না, ইয়ে, মানে পারলাম না!
ওই ঝুলন্ত অবস্থাতেই পর্যবেক্ষন স্কীল কাজে লাগানো শুরু করে মাপলাম একবার, চোখের সামনে শাড়ি পরা মামনি, একবারের জন্যও চোখ ঘোরালো না? কোথাকার হনু রে তুই!
এতো দেমাক কিসের বাল!
বাট সে যাই হোক, মুন্ডা ইস হ্যান্ডসাম এ্যাকচুয়ালি! ইস্ যদি কোনোভাবে! ধুর্, কি সব ভাবছি, এ তো পাত্তাই দেয় না!
নাহ্, ইডারে পছন্দ হইসে, হিস্ট্রি জিওগ্রাফি বের করতে হবে এর!
কাল তো আসবে নিশ্চয়, আমি না হয় আগের বাসটা ছেড়েই দেব, এমনিতেও, অত জলদি কলেজ গিয়ে কি ছিঁ….beep আর!
ধুর্, নামতে হবে!
বাকিটা কাল দেখছি,
হুহ্!
ইগনোরের একশ…..!
চলবে…