বাঙালি মাত্রই খাদ্যরসিক। না না তাই বলে ভাববেননা অবাঙালিরা খেতে কম ভালোবাসে।তবে ‘দুধে-ভাতে’,’কবজী ডুবিয়ে’ ,’ভাতঘুম’ এই শব্দগুলোর সাথে বাঙালিরা একেবারে ওতোপ্রোত ভাবে জড়িয়ে।
আমি একজন বাঙালি। আর আমিও আদ্যোপ্রান্ত খাদ্যরসিক। রবিবারে পাঁঠার মাংস থেকে বিয়েবাড়ীর পান কিছুই বাদ পড়েনা লিস্টে। এমনকী ডায়েট করবো করবো ভেবেও কখনও করা হয়ে ওঠেনি। বিরিয়ানি,মোমো আর ফুচকার চক্করে পড়ে। উপহারস্বরূপ ভুঁড়ি বৃদ্ধি আর মাঝে মাঝে পেটখারাপ এই যা!
তাই বলে কি ঘাসপাতা খেয়ে থাকবো বলুন তো! দামী রেস্টুরেন্টে গিয়ে যারা নিরামিষ খাবার অর্ডার করে তাদের জন্য সমবেদনা ছাড়া আর কি বা দেওয়া যায়।
আরে বাবা বাঙালি হয়ে মাছ মাংস খায়না?
এ কেমনতর কথা!!!!
তবে নিরামিষ পদ যে মন্দ তা মোটেই বলতে পারিনা। এই ধরুন আলুপোস্ত,বিউলীর ডাল আর সাথে গরম ভাতে পোস্তোর বড়া। উফ্ শনিবারের লাঞ্চ টা জাস্ট জমে যায়।
তারপর বাঙাল হোক কিংবা ঘটী আমি তো মশাই ইলিশ চিংড়ি দুই এর ওপরে ক্রাশ খেয়ে বসে আছি। যদি হয় চিংড়়ি মাছের মালাইকারী ,বিশ্বাস করুন একবার চাখলেই নিখাদ প্রেমে পড়ে যাবেন।
ভাপা ইলিশকেই বা বাদ দি কি করে বলুন? এতো ভালোবাসা!
রাস্তায় পাওয়া ফাস্টফুড ছাড়া তো আমাদের আবার চলে না! ফুচকা হোক বা চাউমিন দেখলে জিভে জল আসবেই।এখন আবার নতুন Addition মোমো। যার প্রেমে পড়েছে আট থেকে আশি সবাই ।
শেষে আসে মিষ্টি। না না তাই বলে এদের কদর কি কম নাকি! রসগোল্লা কিংবা মিষ্টি দই শেষপাতে চাই-ই চাই। আইসক্রীম হলেও মন্দ হয়না কী বলুন?
খাদ্যরসিকের লিস্টটা এত লম্বা যে একেবারে লিখে শেষ হবেনা। তাই আবার না হয় ফিরবো আরও মনের মতো পদ নিয়ে অন্য কোনও অধ্যায়ে।