“গালফ অফ আলাস্কা”- যেখানে দুটো সমুদ্র মিলিত হয়!

“গালফ অফ আলাস্কা”- যে স্থানে দুটো সমুদ্র মেলে, কিন্তু কখনোই মেশে না।

আপনি কি কখনো দেখেছেন যে দুটো সমুদ্র এক জায়গায় এসে মিলছে কিন্তু তাদের জল কখনোই মিশছে না। হ্যাঁ ,দুটি সমুদ্রের জলের রং দেখে দুটি জল কে সম্পূর্ণরূপে আলাদা করতে পারবেন আপনারা।

কিন্তু এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কি? আসুন জেনে নেয়া যাক:

আসলে দুটি সমুদ্র নয়,  একটি হিমবাহের জল এবং আরেকটি হলো “গালফ অফ আলাস্কা” র তীরবর্তী অঞ্চলের জল।

ঘনত্ব ,তাপমাত্রা ও বিভিন্ন খনিজ পদার্থের বিভিন্নতার কারণেই রঙের এই বিরূপতা।

হিমবাহের জলে বিভিন্ন খনিজ পদার্থ মিশে থাকার কারণে এই জলের রং হালকা নীল এবং এর ঘনত্ব অপেক্ষাকৃত কম। কিন্তু অপর ক্ষেত্রে সমুদ্রের জল লবণাক্ত হওয়ার কারণে এর রং নীল এবং এর ঘনত্ব অপেক্ষাকৃত বেশি।

এগুলোই হলো এর কারণ।।

কিন্তু এটা কি সত্যি যে এই দুই প্রকার জল “গালফ অফ আলাস্কা” তে কখনোই মেশে না?

না ,এটা আংশিকভাবে সত্য আবার আংশিকভাবে সত্য নয়।

“গালফ অফ আলাস্কা” র এই আশ্চর্যকর দৃশ্য বর্ণনা করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা বলেছেন-

ঘনত্বের পরিবর্তনের কারণে যে রেখাটি এই দুটি সমুদ্রের জল কে আলাদা করে সেটি স্থির নয়।

অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময় অন্তর এর পরিবর্তন ঘটে।

পৃথিবীর নজরে আসে এই প্রকৃতির দৃশ্য , যখন 2007 সালে কিছু সমুদ্র বিশারদ “গালফ অফ আলাস্কা” র জলে লোহার উপস্থিতি নিয়ে কিছু গবেষণা করতে যান।

তারা প্রথম “গালফ অফ আলাস্কা” এই দৃশ্যের ছবি তোলেন।

পরে কেন্ট স্মিথ যখন এই স্থানের দৃশ্য পর্যালোচনা করতে যান তখন তার তোলা 2010 সালের ছবিটি ভাইরাল হয়।

আপাতত বিজ্ঞানীরা জলে অবস্থিত বিভিন্ন খনিজ পদার্থ ও লোহার উপস্থিতির কারণে বিভিন্ন প্ল্যাংকটন এর ওপর গবেষণা চালাচ্ছেন।

এসব না হয় হলো ,একবার ঘুরে আসুন দেখে আসুন পৃথিবীর এই বিস্ময়কর স্থানটি।।

Facebook Comments Box

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *