মা আসছে

মা আসছে। তাই মা এর সাথে আসছে মন্ডপে মন্ডপে নূতনত্বের ছোঁয়া। কোথাও জমকালো থিম, কোথাও সাবেকীয়ানা আর বেশীরভাগটাই লোক দেখানো সরজ্ঞাম। রাস্তা-ঘাট ভরে দেওয়া হয়েছে পোস্টার দিয়ে। যে দেশে বণ্যায় ভেসে যাওয়া ঘরছাড়া মানুষ বাচাঁর আশ্রয়টুকু খুজেঁ পাচ্ছে না সেখানে তৈরী হচ্ছে শত ফুটের দূর্গা প্রতিমা, উচ্চতা আকাশ ছূঁই ছূঁই। দারিদ্রতা যে দেশকে নীচে নামিয়ে দিচ্ছে সে দেশের প্রতিমা পৃথিবীর উচ্চে। চলছে প্রতিযোগীতা, কাদের থিম এ নতুন এর ছোঁয়া, কাদের প্রতিমা কত সুন্দর, কোন জায়গায় পূজোতে অর্থব্যয় বেশী করা গেল। সর্বত্রই একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার প্রচেষ্টা। টেক্কা যদি দিতেই হয় তাহলে সার্বিক উন্নয়নের চেষ্টা কেন করা হচ্ছে না? ক্ষণস্থায়ী লোক দেখানো সরজ্ঞাম কমিয়ে যদি প্রকৃত সমাজের মঙ্গল এর জন্য সাহায্য করা যেত তাহলে হয়তো দেশ আর দশ সবার ই ভালো হতে পারত।hffd

সবটাই অনেকটা “মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপণে” এর মতো নয় কী?? বাহ্যিক সৌন্দর্য নিয়েই সকলের মাথা ব্যথা, আদতে অন্তর্নিহিত দুঃখ, দারিদ্রতা গুলো ঢাকা পরে যাচ্ছে। শোষন কী এই সমাজ থেকে আদেও মুক্তি পেয়েছে?? যদি পেয়েই থাকে তাহলে এই চিত্র কিসের চিহ্ন বহণ করছে?? সত্যি টা বড় না মিথ্যে টাই বড়ো হয়ে দাড়িঁয়েছে। পূরাতণ পুঁথী ঘাটলে দেখা যায় মা দূগ্গার অষূর ণীধণ করে মর্ত্যে আগমন, “দুষ্টের দমন আর সৃষ্টের পালন”। তবে সৃষ্টের পালন হচ্ছে কই?? রঙ্গ করে বলাই যায় মর্ত্যের এ হেন দুরবস্তা এর জন্যই হয়তো মা দূগ্গা বাপের বাড়ি থাকার দিনসংখ্যা কমিয়ে ফেলেছেন প্রতি বছর। সবাই হয়তো ভুলে যাচ্ছে গাছের গোড়াঁ আলগা থাকলে সে গাছ কখনই মাথা তুলে দাড়াঁতে পারেনা, স্বভাবতই গোড়া আলগা এই সমাজ ও পারবে না। উচ্চতা যতই হোকনা কেন ভীত টাই যে দূর্বল। তবে হোক না ভীতটা শক্ত করার প্রতিযোগিতা, ভীতটাকে মজবুত করে সমাজকে উঁচু করা যাক।

Facebook Comments Box

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *