চলতি বছরের শুরুতে, ২৮শে ফেব্রুয়ারি মহাকাশে পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল-এর মাধ্যমে, সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে একটি আশ্চর্য রহস্যময় উপগ্রহ পাঠিয়েছিল ভারতের রাষ্ট্রীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, ইংরেজি ভাষায় “ইসরো”(INDIAN SPACE RESEARCH ORGANISATION).
এই উপগ্রহটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, ভাগবত গীতা, প্রধানমন্ত্রীর ছবি এবং ২৫ হাজারজন মানুষের পৃথক পৃথক নামকে সঙ্গে করে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল।
“স্পেসকিউজ ইন্ডিয়া” নামে একটি সংস্থা ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের সাহায্যে এই উপগ্রহটি তৈরি করেছিল। জানা গেছে, উপগ্রহটি বৈজ্ঞানিক পে-লোডস কাজ করবে, প্রথমত মহাকাশে তেজস্ক্রিয়তার উপর গবেষণা, দ্বিতীয়ত ম্যাগনেটোস্ফিয়ার উপর গবেষণা এবং তৃতীয়ত পাওয়ার লাইট এরিয়া কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক তৈরি কাজ করবে। ইতিহাসের পাতায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এই রহস্যময় উপগ্রহের অভিযান।
পরবর্তী ইসরোর পরিকল্পনা, ভারতীয়দের মুখে হতাশা পরিস্ফুটিত হয়। গত ১২ আগস্ট ২০২১ বৃহস্পতিবার মাঝ আকাশে ভেঙে পড়ল, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের “জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল এফ ১০” (GSLV F10) নামক উপগ্রহটি।
ইসরো সূত্রে জানা যায়, প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের শেষে উৎক্ষেপণের ৪ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডের পর,তৃতীয় ক্রায়োজেনিক পর্যায়ে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ব্যর্থ হয়। যার ফলে গতি কমতে শুরু করে, তারপর আকাশ জুড়ে ভেঙে পড়ে উপগ্রহটি।
এই উপগ্রহটি পৃথিবীর আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের উপর নজর রাখার জন্য পাঠানো হয়েছিল। এই অসফলতা শুধুমাত্র ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের নয়,সারা দেশবাসীর। ঘূর্ণিঝড়, সুনামি ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় ব্যাপারে আগাম সর্তকতা পাওয়া সম্ভব হতো এই উপগ্রহের মাধ্যমে।
আশা করি, আবারও ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে অভিযান সফল হবে।