সুরের জগতের ধ্রুবতারা, তুমি অমরশিল্পী

শুধুমাত্র বাংলা নয়, সারাদেশের অলিগলি সেই সুরের টানে মোহিত হয়ে থাকে। রাতের আকাশে নক্ষত্রের আলো যেমন মিটমিট করে, ঠিক তেমন তাঁর প্রতিভাও হৃদয়ের কোণে আজীবন জুড়ে থাকে। তাঁর মতো সুবিখ্যাত প্রতিভাশীল সুরের রাজা ভবিষ্যতে হয়তো ভারতের বুকে কেউ জন্মাবে না।

কি সবার মনে পড়ে গেল তো,সংগীতজগতের ধ্রুবতারা এবং সর্বশ্রেষ্ঠ কিশোর কুমারের কথা।

১৯২৯ সালে ৪ই আগস্ট বাঙালীর গর্ব সঙ্গীতশিল্পী কিশোর কুমার মধ্যপ্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা কুঞ্জলাল গাঙ্গুলী ও মাতা গৌরী দেবীর কনিষ্ঠপুত্র ছিলেন আভাস কুমার গাঙ্গুলী, তিনি সংগীতজগতের কিশোর কুমার নামে পরিচিত ছিলেন। ১৯৪৯ সালে দেবানন্দ অভিনীত “জিদ্দি” নামের সিনেমায় তিনি প্রথম গান করে,সংগীত জগতে পথ চলা শুরু করেন। সঙ্গীত করার সাথে বহু হিন্দি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তিনি সংগীত বিষয়ে বেশি পারদর্শী ছিলেন বলে সিনেমার অভিনয় করা ছেড়ে সঙ্গীতচর্চায় মনোযোগী হন। তারপর হিন্দি, বাংলা ও উর্দু ইত্যাদি ভাষার সিনেমায় গান করে জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী হয়ে ওঠে সারা দেশে।

বিখ্যাত দুর্গোৎসবে  কলকাতা ও পাশ্ববর্তী শহরের অলিগলিতে আনন্দ-উল্লাসে মাতিয়ে তোলে তার বিখ্যাত সঙ্গীতগুলি-“এই যে নদী, হাওয়া মেঘ সরিয়ে, এক পলকের একটু দেখা, নীল নীল আকাশে ও আজ এই দিনটাকে” ইত্যাদি।

শ্রেষ্ঠ পুরুষ নৈপথ্য সংগীতশিল্পীর জন্য অষ্টমবার”ফিল্মফেয়ার পুরস্কার”জিতেছিলেন, এছাড়াও হিন্দি চলচ্চিত্রে অধিক পরিমাণ অবদানের জন্য তার নামে”কিশোর কুমার পুরস্কার”প্রদান শুরু হয়।

অবশেষে, ১৯৮৭ সালে ১৩ই অক্টোবর মাত্র ৫৮ বছর বয়সে শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত শিল্পী কিশোর কুমারের মৃত্যু হয়। কিন্তু তারপরও তার স্মৃতি সঙ্গীতপ্রেমীদের হৃদয়ে অধিকার করে রয়েছে।

শুধুমাত্র আজ নয়, ভবিষ্যতেও তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ সুরাকার,গীতিকার,রেকর্ড প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার হয়ে থাকবে

Image Courtesy- Google

Facebook Comments Box

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *