অনিন্দ্য
আমার লেখা এই শেষ চিঠিটা পড়বে তো?
মৃত্যুর দিকে ঝুঁকে এলোপাতাড়ি রাগ অভিমানেই লিখেছি
বুকে অনেক নালিশ জড়িয়ে ধরে।
তুমি চলে গেলে দূর দেশে
ওই তারার দেশে,
এটা আমি মানি কি করে বলো?
আমাদের মাঝে ব্যবধান থাকবে অগুন্তি যুগের,
যেখানে আমি চাইলে আর তোমায় ছুঁতে পারবো না,
নেড়েঘেঁটে তোমার ভালবাসার আতরে মিশতে পারব না
তা আমি কেমন করে সইবো বলো?
বুকের মধ্যে কালবৈশাখী ঝড়,
তোমার আর আমার শহর আজ থেকে হবে আলাদা
তুমি থাকবে মাটিতে মিশে আর আমি দালানকোঠায়।
আমার হাতে তোমার পছন্দের লাল গোলাপ
তুমি ছুটে এসে কেড়ে নেবে না একবারও,
বলবে না, লাল গোলাপ তোমার ভীষণ প্রিয়।
শুধু আমি একা পাথরের মতো তোমার কবরে ফুল দেব
অঝোরে কাঁদবো চিৎকার করে
আর তুমি বুকে জড়িয়ে ধরে আদর করবে না,
তা আমি কেমন করে সইবো বলো?
অনিন্দ্য
উত্তর তোমায় দিতেই হবে শেষ চিঠিটার
আমায় একা করে, শুন্যে ছুঁড়ে দিয়ে
তুমি খুব শান্তি পেলে বলো?
চোখে মুখে ডার্ক সার্কেল
ঘুমের প্রলেপ নিয়ে আসে না আর ঋতু
এখন আমি পুরোটাই এলোমেলো
নিজের যত্ন নিইনা আর অভিমানে
যত্ন নেওয়ার লোকটা যে আমায় ফেলে গেছে একা করে,
খুব একা করে ।
এখন বিষন্নতা আমার সাথী,
এই অন্ধকার নির্জন ঘর আমার সাথী,
আমার খোঁজ নিতে আর ইচ্ছে করে না বলো গাঢ় নিস্তব্ধতা কাটিয়ে?
অনিন্দ্য
আমি অপেক্ষায় থাকবো খুব করে
শেষ চিঠিটার উত্তর দিও না হয় একবার ভুল করে,
শুধু একটিবার ভুল করে।