এই শহরের অফিসে, রাস্তায় তুমিও ঘুরবে, কিন্তু কোনদিন আর দেখা হবে না আমাদের।
আর কখনো খেয়াল করবো না, দেখা হওয়ার মুহুর্তে তুমি আমার চোখে চোখ রেখেছো কি না।
হয়তো শুধু দেখেছো শরীর, যেটা তোমার প্রিয়।
দেখা না হতে হতে ভুলে যাবো তোমার ছোঁয়ায় শিহরণ। ভুলে যাবো তোমার আলিঙ্গনে হৃদয়ের স্পন্দন কতো গুণ বেড়ে যেতো।
তুমি হয়তো ঘুরে বেড়াবে পাড়ার মোড়ে, আড্ডায়।
পরিবারের সুখী সদস্য হিসেবে হৈচৈ করবে খুব!
আর নয়তো আলগোছে খুলবে কারো শাড়ির আঁচল।
ভুলে যাবে নামটাও। কোন অজানা জ্বরের ঘোরে স্বপ্ন বলে উড়িয়ে দেবে মনে পড়া কোন স্মৃতি।
দেখা না হতে হতে ভুলতে থাকবো তোমার দেখতে ঠিক কেমন ছিলো! দেখা করার সময় ঘন ঘন জল খেতে নাকি বারবার উঠে দাঁড়াতে।
ভুলে যাবো তোমার চুমু খাওয়া কেমন বাঁকা ধরনের ছিল। আদর করার পর তোমার কথা না বলার কারণ কেন খুঁজে বেড়াতাম? মনে মনে আর হয়তো ভাববো না, আরেকটু থাকলে ভালো হোতো।
আর কোনদিন কষ্ট পাবোনা তোমার আসার তারিখে ব্যস্ততার অজুহাতে না দেখা করা।
হিসাব করবো না আর! তুমি কতোগুলো মঙ্গলবার ফিরিয়ে দিয়েছিলে।
অনেক বছর তোমার আমার দেখা হবে না।
তবুও বেঁচে থাকবো।
কে বলেছে দেখা না হলে মানুষ মরে যায়?
সব ভুল বুঝে কোন এক বিকালে ছাদে গিয়ে দাঁড়াবো– ভাবতে বসবো ভালোবাসা মিথ্যা অনুভূতি। সবাই অপ্রেমিক, প্রেমিকের অভিনয় করে।
এতো কালের না পাওয়া অতৃপ্তি সব মুছে দিতে পারে―তোমার মুখ, তোমার পরে আসা শার্টের রঙ।
যত্নে রাখা ছবিগুলো অপ্রয়োজনীয় বলে মুছে দেবো।
এতোকিছুর পরও ভেবোনা আমি একা আছি।
তোমার অপ্রেম আমার সঙ্গে সঙ্গে আছে।
তোমার অবহেলা, অপ্রেম আমাকে সাবলম্বী করে তুলেছে।