একা থাকার গল্প

আমার আর একা লাগে না জানো।
তুমি যে অ্যবস্ট্রাক্ট প‍্যান্টিং টা দিয়েছিলে,
তার ঠিক ডাইনে একটা খিড়কি ছিল। মনে আছে!

ওই খিড়কি দিয়ে রোজ আমি তাকিয়ে থাকি,
সুদূর নীল আকাশের দিকে, অনেকক্ষণ ধরে, একমনে।

আকাশ চিরে চলে যাই নক্ষত্রমণ্ডলে,
নক্ষত্রের অভ‍্যন্তরে কত সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন সাজানো, জানো!

আমার আর একলা লাগে না।
সারাক্ষণ শুধু বিষের ধোঁয়া পান করি।
অ্যশট্রে তে তার আবশিষ্ট ছাইটুকু পড়ে থাকে।


ছাইয়ের ভেতর কত সূক্ষ সূক্ষ অণু পরমাণু।
অণু পরমাণুর ভেতর কত কষ্ট বন্দি।
চিন্তা করোনা, সব তো অল্প হাওয়াতেই উড়ে চলে যায়!

আমার আর একা লাগে না জানো।
আমার পড়ার টেবিলে ভ‍্যালেন্টাইনস্ এর
গোলাপটা এখনো জীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
শুকনো রক্তের দাগটা এখনো স্পষ্ট।

ওই রক্তের গন্ধেই তো রাত বাড়লে নেশা বানাই।
কি করব বলো!
নাহলে যে দু’চোখের পাতা এক হতে চায় না।
আমার আর একা লাগে না জানো।

এই তো, সেদিন ব‍্যাগ হাতড়ে
তোমার দেওয়া লাল পেনটা খুঁজে পেলাম।
অনেক টা কালি ছিল তাতে।
ওই পেনের কালিতেই তো লিখছি,আমার একলা না থাকার গল্প।

তুমিই বলো, এতকিছু নিয়ে থাকলে আর একলা লাগে!
একলা না থাকার সূচনাটা তুমিই করেছিলে।
উপসংহার টা নাহয় তোমার লাল পেনটাই করল!

নাইবা আমায় মনে পড়ল তোমার একলা রাতে!
ক্ষতি কি তাতে?
দুচ্ছাই। কিচ্ছু যায় আসে না আমার!
আগামীতেও বাঁধন ছিড়ে উড়বে লেখার খাতা।
একলা না থাকা গল্পে ভরতি হবে আরো শ’কয়েক পাতা!

 

Facebook Comments Box

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *