গত শুক্রবার মুক্তি পায় শাহিদ কাপুর এবং কিয়ারা আদভানি অভিনীত কবির সিং এটা সাউথের Arjun Reddy-র রিমেক। তবে অরিজিনাল ফিল্ম এর ডিরেক্টর সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা-ই এই ছবির পরিচালক।
চলচ্চিত্রে কবির সিংহ একজন মেডিক্যাল সার্জন। কিন্তু স্বাভাবিক কোনো ডাক্তারের মতো নন, প্রকৃত পক্ষে আলকোহলিক, সব রকমের নেশায় আসক্ত। ছবির শুরুতে, দেখা যায় ছুরি হাতে তিনি একজন মেয়েকে সেক্স এর জন্য জোর করছেন, প্র্যাকটিক্যালি রেপ এর হুমকি। যাইহোক মূল কথায় আশা যাক, কবির সিং এর এই ঔদ্ধত্য এবং বিরূপ মনোভাব কেন? প্রশ্ন করতেই পারে পাবলিক। উত্তর হলো এই যে, সে নাকি কোনো মেয়েকে ভালোবাসতো, কিন্তু নানা কারণে তাদের সম্পর্কটা টেকে নি।
এবার ফ্লাশব্যাকে, kabir মেডিক্যাল ইন্টার্ন, কলেজ টপার, ফুটবল টিমের ক্যাপ্টেন। খুব ভালো কথা, কিন্তু তার একটুতেই মাথা নষ্ট। এরপর এক ফ্রেশার্স প্রীতিকে দেখে খুব পছন্দ। পুরো ক্লিশে, কিন্তু যেটা নয় সেটা হলো, কবিরের বারবার করা ঔদ্ধত্য আর মেয়েটির মুখ বুজে সব সহ্য করা। আর গল্প নিয়ে কিছু না বললেই ভালো। সবই ঠিক কিন্তু গন্ডগোলটা হলো গিয়ে, এটা একবিংশ শতাব্দীর সিনেমা। এখন, সব ভেবে সিনেমা বানাতে হয়।
- শাহিদ কাপুরের পারফরম্যান্স নিয়ে কোনো কথা হবে না। কিয়ারাও যথেষ্ট যোগ্য কাজ করেছেন, ছবির ক্যারেক্টার অনুযায়ী। কিন্তু এখানে তো কবির সিং-ই একটা হেটফুল ক্যারেক্টার। এখন যদি আপনি গল্প কে গল্প হিসেবে ভাবেন তবে, ইটস গুড। কিন্তু, আপনার যদি মনে হয় যে এটা শুধুমাত্র সিনেমা নয়, এবং এটা সমাজকে প্রলুব্ধ করবে নেশাগ্রস্থ হওয়ার জন্য, তবে আপনার কাছে ফিল্মটা অতি জঘন্যও হতে পারে।
ইতিমধ্যেই অধিকাংশ জনগণ যারা সিনেমাটি দেখে এসেছেন, তাদের বেশ পছন্দ হয়েছে,কবিরের সেই এগ্রেশন। কিন্তু বাকিদের ঠিক মনোপুত হয়নি ব্যাপারে টা। তাদের কাছে বক্তব্য একটাই সব সিনেমা সমাজকে দর্শন শেখানোর জন্য তৈরি হয় না। আর ভারতের মতো দেশে যেখানে ফেমিনসম এর চল আছে, আই রিপিট, ফেমিনসম এর চল আছে, খুব কম লোকই আছেন যারা এর আক্ষরিক অর্থটা বোঝেন, তাদের আঁতে তো ঘা লাগবেই, ছরেও যেতে পারে ভালোমতো।
তবে, গল্পের মধ্যে শেষে যে হ্যাপি এন্ডিং সেটা একটু একঘেঁয়ে।
গানগুলো খুব ভালো। অরিজিৎ এর গলায় আরো একটা হিট। ওভারঅল, মিশ্র প্রতিক্রিয়া,গল্পে সেরম নতুনত্ব না থাকলেও সিনেমায় শাহিদের পারফরম্যান্স মন কেড়েছে সবার।