নারী নিজের অন্দরে একটি অন্তঃসলিলা নদী ধারণ করে। সে নদীর প্রবাহ পথ ঠাওর করা না গেলেও তার প্রবহমানতার আভাস ঠিকি পাওয়া যায়। এ তার ব্যক্তিত্বের আধার। কখনো এ শান্ত জলধারা, কখনো উচ্ছলতায় ভরপুর। বাধা পেলে সে ভয়ংকর খরস্রোতা। তবে এই স্রোতস্বিনী নারীই যদি কোনো পর্বতসম বিরাট মনের হদিস পায়, পায় দুটো আগলে রাখার হাত, তবে সে তার সর্বস্ব দিয়ে প্রথমে জলপ্রপাত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে মনের গিরিখাতে। অনুভব করতে চায় উপত্যকার নিরাপত্তা। এগিয়ে যায় নিজের ছন্দে, নিশ্চিন্ত হয়ে।
তার গোটা জীবনযাত্রায় এই পর্বত ই তার পিতা, তার মাতা। যারা তাকে সামান্য জলধারা থেকে নদীতে রূপান্তরিত করে। এই উদ্ভিন্ন যৌবনা নদীও তখন তার পিতার মত উদার সমুদ্র চায় জীবনসঙ্গী হিসেবে। চায় মিলন মোহনা। এবং বিচার না করেই ছুটে যায় সবচেয়ে কাছের জলপ্রবাহের দিকে। সমুদ্র ভ্রমে। এবং মিশে যায় অন্য একটি সাধারণ নদের স্রোতে। যখন তার ভ্রম নাশ হয় তখন সে পিছিয়ে আসতে পারেনা। প্রবাহভিমুখ যে ততদিনে পরিবর্তিত হয়েছে, হারিয়েছে নিজস্বতা। এখন সে অন্তঃসলিলা। সমুদ্র তার স্বপ্ন হয়ে থেকে যায়।
তাই নারী বিচার করো। যাই জলধারা তাই সমুদ্র নয়। সমুদ্র তার উপস্থিতি ঢেউয়ের গর্জনে জানান দেয়। সেই নিনাদ এর অপেক্ষা করো। ভাগ্য বলে কিছু নেই। তোমার বিচারধারা তোমাকে যেমন অন্তঃসলিলা লুনি বানাতে পারে, তেমনি বানাতে পারে পতিতপাবনী গঙ্গা।
বৃন্দাদ্যুতি
খুব ভালো লাগলো ❤️✨
Asadharan ❤❤❤