মধুর ক্ষণ

কিছু কিছু মুহুর্ত মনে আজীবন দাগ কেটে যায়। সে ছোটোখাটো মধুর কথোপকথন, খুনসুটি, মজা অনেক কিছুই হতে পারে। বিভিন্ন ছোট ছোট মধুর ক্ষণ নিয়েই তো আমাদের জীবন। সেরকমই একটি দুষ্টুমিষ্টি একটি মুহুর্ত লেখার পাতায় তুলে ধরলাম..

– দেখলি, ট্রেনটা মিস হয়ে গেল। সব তোর জন্য!

– হ্যাঁ এখন তো সব দোষ আমার! সকাল বারোটা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত ঘুরে মাত্র দুটো ড্রেস কিনলি! আমার মাথা, পা সবকিছুর শ্রাদ্ধশান্তি করলি! এখন ট্রেন মিস হতেই আমার দোষ হয়ে গেল? বাহ্!

– এই, একদম শপিং নিয়ে কিছু বলবিনা। মেয়েদের একটু বেশি সময় লাগে তুই জানিস না? তাছাড়া পুজোর কেনাকাটা বলে কথা! একটু দেখে নেবো না? তুই কেন ওরকম একটা রেস্টুরেন্ট এ নিয়ে গেলি? এক খাবার সার্ভ করতে আধঘন্টা লাগিয়ে দিল! তাই তো ট্রেনটা মিস হয়ে গেল!

– শোন, তোর সাথে অতক্ষণ চরকিবাজি করে আমার আর এনার্জি ছিল না রেস্টুরেন্ট খোঁজার। সামনে যা পেয়েছি তাতেই ঢুকেছি। তাছাড়া খাবার দিতে অত সময় লাগবে আমি কী করে জানব! তোর সাথে আসাটাই আমার ভুল হয়েছে। তার চেয়ে ঘরে বসে ম্যাচ দেখলে ভালো হতো! ধ্যাত!

– আচ্ছা! এখন ম্যাচ আমার থেকে বেশি ইম্পর্ট্যান্ট হয়ে গেলো? ঠিক আছে, পরশু আমি একাই আসবো। তোকে লাগবে না।

– কী! আবার পরশু! ধন্য তুমি দেবী! একটু পদধূলি দিও!

– ইয়ারকি মারবিনা! যা তুই এখান থেকে। আমি ট্রেন এলে চলে যাবো।

– থাক অনেক হয়েছে। এখনো ঠিক করে আপ-ডাউন চিনিস না। আর শোন, পরশু নয়, রবিবার প্ল্যান কর। পরশু ছুটি নিতে পারবোনা।

– তোকে আসতে হবে না। আমি একাই চলে আসবো।

– হ্যাঁ সে আর বলতে! ধর্মতলা ছেড়ে দিলে তো একটা জায়গাতেই পাক খাবি! ওই দেখ, ট্রেন এসে গেছে, সাবধানে যাবি। আর শোন, বাড়ি গিয়ে ওষুধটা মনে করে খেয়ে নিস। আজ দুইখানা আইসক্রিম খেয়েছিস। ওষুধ না খেলে সকালে দেখবি গলাখানা দেহ ছেড়ে পালিয়ে গেছে!

– হুম, আর কনসার্ন দেখাতে হবে না। টাটা।

– সাবধানে যাস, পৌঁছে জানাস। পাগলী একটা!

Facebook Comments Box

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *